ছবি : মেসেঞ্জার
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় লিফলেট বিতরণ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় ‘জুলাই এর প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা’ সম্বলিত স্লোগানের এ লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সড়কের পাশের ব্যবসায়ী, পথচারী, ইজিবাইক চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
লিফলেট বিতরণের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম হোসেন বলেন, জুলাই আন্দোলন শুধু একটি সরকারকে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে হয়নি। আন্দোলনের উদ্দেশ্যেই ছিল বৈষম্যহীন সাম্যের নতুন বাংলাদেশ গড়ার। পরবর্তীতে যে সরকার ক্ষমতা আসবে তারা যেন এই আন্দোলনকে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্যও জুলাই ঘোষণাপত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সদস্য সচিব সাফফাতুল ইসলাম বলেন, বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলুপ্ত করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে সবশেষে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলুপ্ত এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্বীকৃতি দিতে হবে। আহতের দায়িত্ব নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঘোষণা-পত্রে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদানের প্রতিশ্রুতি, অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনী ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার, ঘোষণাপত্রে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর নেতৃত্ব পরিস্কারভাবে উল্লেখ, ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিস্কার করা, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় এ কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে। লিফলেটে উল্লিখিত এসব বিষয় সাধারণ মানুষের মাঝে সুশৃঙ্খলাভাবে তুলে ধরেন এসব ছাত্ররা।
চুয়াডাঙ্গা
মেসেঞ্জার/লিটন/তুষার