ছবি : মেসেঞ্জার
ভোলার চরফ্যাসনে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে নুসরাত জাহান হাফছা (২৩) নামের এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলী শাহ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
চরফ্যাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাফছা ওই বাড়ির মো. মামুন মিয়ার স্ত্রী এবং এক সন্তানের জননী। মামুন পেশায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি ঢাকায় পূবালী ব্যাংকে চাকরি করেন। তার শ্বশুর পেশায় একজন ব্যবসায়ী। চরফ্যাসন বাজারে তার গার্মেন্টসের দোকান রয়েছে। হাফছার মৃত্যুতে তার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
মৃত হাফছার খালাতো ভাই তাইজুল ইসলাম তানজিদ এবং চরফ্যাসন থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনের সঙ্গে হাফছার বিয়ে হয়েছে ৫ বছর আগে। তাদের ৩ বছর বয়সী একটা ছেলে রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর তাদের সাংসারিক জীবন সুখের হলেও পরবর্তীতে সাংসারিক জীবনে অশান্তির সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন রাতে হাফছা বাড়িতে একা ছিল। তার শাশুড়ি ননদের বাড়ি ভোলায় ছিলেন। হাফছা ফাঁস নেওয়ার আগে তার স্বামীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন। কথার একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে তার তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। এরপর মুঠোফোনের লাইন কেটে দিয়ে শিশু বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে তার পাশেই সিলিংফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে হাফছা আত্মহত্যা করেন।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্বশুর সালাউদ্দিন বাজার থেকে বাড়িতে গিয়ে দেখেন ঘরের সমস্ত দরজা-জানালা বন্ধ। এরপর তিনি একাধিকবার ডাকার পরেও হাফছার কোনো সাড়াশব্দ পাননি। বাধ্য হয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন হাফছা গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।
চরফ্যাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজিজুর ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি৷ সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ধারণা করা যাচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন মর্মে আমরা জানতে পেরেছি। তবে, তার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে হাফছার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/সাইফুল/তুষার