ছবি : মেসেঞ্জার
চন্দনাইশ উপজেলার বরমা সুচিয়া বাইনজুরী গ্রামে লাখো নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে যথাযথ মর্যাদায় সম্পন্ন হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের শুক্লাম্বর দীঘির প্রাচীন মেলা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রাচীনতম ঐতিহাসিক এ শুক্লাম্বর দীঘির পূর্ণ্য স্থান উৎসব উদযাপন হয়। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে এই মেলা বসে।
প্রতি বছরের মতো এবারও পৌষ সংক্রান্তিতে চন্দনাইশের শুক্লাম্বর দীঘির মেলায় ঢল নেমেছিল মানুষের। আগের দিন সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল থেকেই দিঘিরপাড় মুখরিত হয়ে উঠেছিল পূণ্যার্থীদের পদচারণায়। আত্মশুদ্ধি, পাপমুক্তি ও মনোবাসনা পূরণের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা এখানে এসেছেন। মনোবাসনা পূরণের জন্য দীঘিতে আসা পূণ্যার্থীদের অনেকে অশ্বত্থ গাছের নিচে কবুতর উড়িয়ে দেন। আবার কেউ কেউ দিঘিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে স্নান করেন। অনেকে দিঘীর জলে ঢেলেছেন তরল দুধ।
শুক্লাম্বর ভট্টাচার্য ত্রিপাঠির নামেই এই মেলার নামকরণ। প্রায় ৪০০ বছর আগে ভারতের নদিয়া এলাকায় জন্ম হয় তাঁর। ৪০ বছর বয়সে সনাতন ধর্ম প্রচারের জন্য ভারত থেকে চন্দনাইশের বরমায় আসেন তিনি। বরমায় বেশ কিছু জমি কিনে শিবমন্দির তৈরির মাধ্যমে ধর্মপ্রচার ও জনসেবা শুরু করেন। এই শুক্লাম্বর দিঘীর মেলায় সনাতন ধর্মের লোক ছাড়াও প্রতিবছর বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার নারী পুরুষ মেলা দেখতে আসেন।
মেলা পরিশর্দন করেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব হোসেন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফেরদৌসী আক্তার, কৃষি অফিসার আজাদ হোসেন, সমাজ সেবা অফিসার রাসেল চৌধুরী, উপজেলা এলডিপি উপদেষ্টা মন্ডলির সভাপতি আইয়ুব কুতুবী, পৌরসভা এলডিপির সভাপতি এম এ আইনুল কবির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মাবুদ, মোজাম্মেল, উপজেলা পূজা কমিটির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর পূজা কমিটির সহ-সভাপতি অরুপ রতন চক্রবর্তী।
মেসেঞ্জার/টিপু/এসকে/ইএইচএম