ঢাকা,  বুধবার
১৫ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১২:২০, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ছবি: মেসেঞ্জার

জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলির অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় উল্ল্যেখযোগ্য অন্যান্য আসামীরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদসহ পুতুল।

গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) জুলাই আন্দোলনে আহত বিএনপি কর্মী তহমুল ইসলাম ওরফে মাজহারুল (২৭) বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর লতিবাবাদ এলাকার আবু তাহের ভূঁইয়ার ছেলে। 

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যধতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি জানান, মামলাটি এফআইআর করা হয়েছে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সদর থানায় ১১টি মামলাসহ জেলায় প্রায় অর্ধশত মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় চার হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হলো।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গড়ে ওঠা ঐক্য-আন্দোলনাকে দমন করতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর আসামি সারা দেশে গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই মোতাবেক তাঁরা কিশোরগঞ্জে যাতে কোনো আন্দোলন হতে না পারে, সে জন্য ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিরা শটগান, বন্দুক, পিস্তল, ককটেল, বোমা ও দেশি অস্ত্র এবং অর্থ সরবরাহ করে আন্দোলন দমাতে এবং গণহত্যার নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে আসামিরা হামলা চালান। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের আহত করেন। এ ছাড়া আসামিরা গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।

বাদী তহমুল ইসলাম মামলার ব্যামপারে বলেন, তিনি বিএনপির একজন কর্মী। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি এখন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় তিনি মামলাটি করেছেন।

মেসেঞ্জার/শাহজাহান/জেআরটি