ছবি : মেসেঞ্জার
আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে লক্ষ্মীপুরে ৩ দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ ভবন প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এতে ১২টি স্টলে উদ্যোক্তারা নানান নকশার ঐতিহ্যবাহী পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন। প্রথম দিনেই বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা মুখরোচক পিঠা উৎসবে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেলুন ও ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর থানার তদন্ত (ওসি) শাহিদ। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পান্না আক্তার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আর এম ও মামুনুর রশীদ পলাশ। উপজেলা আনসার-ভিডিপি প্রশিক্ষকা আমেনা বেগম প্রমুখ। পরে তারা স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসব চলমান। ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবং আবহমান গ্রাম বাঙলার ঐতিহ্যকে স্মরণে রাখতে পিঠা উৎসবের এ আয়োজন করা হয়। স্টলগুলোতে স্থান পাওয়া পিঠাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভাপা, চিতই, দুধচিতই, ছিট, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি নকশি, মালাই, মালপোয়া, পাকন ও ঝাল ইত্যাদি।
উদ্যোক্তারা জানায়, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিতে মেলায় অংশ নিয়েছেন তারা। এ ছাড়া পিঠা তৈরির মাধ্যমে নারীদের হাতের কাজের কারুকার্য, নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। পিঠা প্রেমীরা বলছেন, চমৎকার এ আয়োজনে এসে বেশ আনন্দিত তারা।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান খান বলেন, ‘৩ দিন আমাদের পিঠা উৎসব চলবে। এ উৎসবে বিভিন্ন সংস্থা পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম দিক হচ্ছে চিরায়িত পিঠা উৎসব।'
মেসেঞ্জার/সুমন/তুষার