ঢাকা,  বুধবার
১৫ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ‘কবর’ দখলে নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

আলমগীর হোসেন, বগুড়া

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ‘কবর’ দখলে নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা

ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুনের ‘কবর দখলের’ অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আইয়ুব আলী দখল করে রাখায় ভয়ে মামুনের স্ত্রী স্বামীর কবরটির কাছেও যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ তাদের।

উপজেলা শহরের বি-ব্লকের বাসিন্দা পরিবারটি বলছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে হওয়া মামলার আসামি তিনি। পলাতক অবস্থায়ই গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়। পরদিন শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে মামুনের মরদেহ নিয়ে আসার খবরে তাদের বাড়িতে গিয়ে মরদেহ জিম্মি করেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আইয়ুব আলী। পরে নগদ টাকা ও চেক নিয়ে মরদেহটি ছেড়ে দেন তিনি।

মামুনের স্ত্রী মনিরা পারভীনের অভিযোগ, মরদেহ জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন আইয়ুব। অনেক অনুরোধেও নামাজে জানাজা ও দাফনের জন্য তার কাছ থেকে মরদেহ পাওয়া যায়নি। পরে ঘরে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা এবং দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক আইয়ুবকে দেয়া হলে মরদেহ দাফন করতে দেন তিনি। ওই সময় আইয়ুবের সঙ্গে ৩০ জনের মতো লোকজন ছিলেন।

তিনি দাবি করেন, আইয়ুবের সঙ্গে তার স্বামীর কোনো লেনদেন ছিল- এমন কথা তিনি কখনো শোনেননি। আইয়ুব এটি চাঁদাবাজি করেছেন। এখন স্বামীর কবরের কাছেও তাকে যেতে দিচ্ছেন না আইয়ুব। দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা নগদ না পাওয়া পর্যন্ত মামুনের কবরে স্বজনদের কেউ যেতে পারবেন না বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আইয়ুব বলেন, পাওনা টাকার জন্য মামুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি, চাঁদার জন্য নয়। মামুনের স্ত্রী তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা আর বাকি টাকার চেক দিয়েছেন। চেকটি মামুনের স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের।

পাওনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার পালিত ছেলের একটি মোটরসাইকেল ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে সেটিকে চোরাই দাবি করে আমার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে আসেন মামুন। পরে তারা মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যান। আমি শুধু সেটির ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি’।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মামুনের পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, আইয়ুবের হুমকি-ধমকিতে আতঙ্কে রয়েছেন তারা। তাই মরদেহ জিম্মি করে চাঁদাবাজি ও কবরে যেতে বাধা দেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম জানান, এমন বিষয় আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন।

মেসেঞ্জার/তুষার