ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়া জেলা জমঈয়তে আহলে হাদিসের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠনে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশদ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেন, জমঈয়তে আহলে হাদিস বাংলাদেশের প্রাচীনতম দ্বীনি সংগঠন। এটি শিরক-বিদআত মুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বগুড়া জেলা কমিটির বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আহলে হাদিসের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জমঈয়তের ত্রি-বার্ষিক কমিটি গঠনের সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সহায়তায় দরজা বন্ধ করে পাতানো নির্বাচন করা হয়েছে। এতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ রঈসুদ্দীন এবং আ.ন.ম ইয়াহইয়াকে যথাক্রমে সভাপতি ও সেক্রেটারি ঘোষণা করা হয়। এটি গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী বলে দাবি করেন বক্তারা।
লিখিত বক্তব্যে আ.ন.ম ইয়াহইয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, মসজিদের এসি ব্যবহার, অডিট রিপোর্ট গোপন এবং অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ আনা হয়। মাহমুদুর রহমান দাবি করেন, এ সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তা উল্লেখ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় জমঈয়ত কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে অনিয়মের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। তবে অজ্ঞাত কারণে কেন্দ্রীয় কমিটি এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে আগামী ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলা হয়, বর্তমান জেলা কমিটি বিলুপ্ত করে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করতে হবে। শাখা ও এলাকার সঠিক কাঠামো না করে কাউন্সিল করা গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের শামিল।
বক্তারা ১৮ জানুয়ারির কাউন্সিল বাতিলের দাবি জানান এবং আ.ন.ম ইয়াহইয়াসহ জড়িত ব্যক্তিদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আহ্বান জানান। তারা কেন্দ্রীয় জমঈয়তের তত্ত্বাবধানে একটি গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের জন্য জোর দাবি জানান।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তুষার