ছবি : মেসেঞ্জার
নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্পুস্তক বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বহালের দাবিতে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে উগ্র-মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং যথাযথ বিচারের দাবিতে বান্দরবানের থানচিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টায় থানচি উপজেলা সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা আয়োজনে ব্যানারে বাসষ্টেশন এলাকা থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়কের বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাঙ্গু সেতুর ত্রি-মুখীর সড়ক প্রাঙ্গনে সমাবেশের উপজেলা (বিএমএসসি) সহ-সভাপতি ক্যহাইসিং মারমা সভাপতিত্বে পাঠপুস্তক “আদিবাসী” শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি বহালের দাবি’সহ এনসিটিবি ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে উগ্র-মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং যথাযথ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের উপজেলা ম্রোঃ এসোসিয়েশন সংগঠনের সভাপতি কলাই ম্রোঃ সঞ্চালনায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখছেন– ছাত্র সমাজের নেতা উক্যবু মারমা, খুমী এসোসিয়েশন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক থংলে খুমী, ত্রিপুরা এসোসিয়েশন সংগঠনের সভাপতি আসাবান ত্রিপুরা, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি এর ছাত্র জয় মারমা, উপজেলা আদিবাসী ছাত্র ও যুব সমাজের নেতা (সমন্বয়ক) সিংওয়াইমং মারমা, উপজেলা আদিবাসী ছাত্র ও যুব সমাজের নেতা (সমন্বয়ক) মংমে মারমা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু উগ্র ও মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটিবি নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্রের অনলাইন ভার্সন থেকে আদিবাসী শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি বাতিল করে, যা একটি বৈষম্যহীন দেশের জন্য কাম্য নয়।
বাংলাদেশে জনতার হিংস্রতা, জাতিগত বিদ্বেষ এবং গোঁড়ামির কোনো স্থান নেই। যারা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি এবং আইনশৃঙ্খলার ক্ষতিসাধনে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকার। এই হামলার ঘটনায় দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারসহ যথাযথ বিচারের শাস্তি প্রদান করতে হবে। তা না হলে কঠোর থেকে আরো কঠোরভাবে আন্দোলনের হুশিয়ার দেন- আদিবাসী ছাত্র-জনতা। পাঠপুস্তক বইয়ের আদিবাসী গ্রাফিতি বহালের যুক্ত করারসহ বাংলাদেশের সব আদিবাসীকে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানান তারা।