ছবি: সৌজন্য
যশোরের আড়াই হাজার শিক্ষক এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) জটিলতার কারণে তাদের বেতন আসেনি বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। ফলে তারা চরম অর্থ কষ্টে ভুগছেন।
সদর উপজেলার রুপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমীর প্রধান শিক্ষক বিএম জহুরুল পারভেজ জানান, ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে শিক্ষকদের একাউন্টে বেতন চলে আসবে। এজন্য ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের অর্ন্তভূক্ত করার লক্ষ্যে নভেম্বর মাসে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সারা দেশে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে বলা হয়।
এ লক্ষ্যে যশোরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক তাদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নিজেদের কাগজপত্র জমা দেন। কাগজ পত্রের মধ্যে শিক্ষকদের যোগদানের পত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটো কপি ও ব্যাংক একাউন্ট নম্বর। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে শিক্ষকদের কাগজপত্র গুলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় পাঠিয়েছে। কিন্তু শিক্ষকরা গত ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনো পাননি।
নিউটাউন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আই প্লাস সফটওয়্যারে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারে শিক্ষকদের বেতন তাদের একাউন্টে আসার কথা ছিল। সফটওয়্যার জটিলতার কারণে অনেক শিক্ষকের বেতন বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, তার স্কুলে ২৫জন শিক্ষকের মধ্যে ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে বেতন পেয়েছেন ১৪ জন। এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি ১১ জন শিক্ষক।
বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল আনাম আজাদ জানান, তার স্কুলে ২৪জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ৮জন বেতন পেয়েছে। তিনিসহ ১৬জন এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি। কবে তারা বেতন পাবে তিনি সেটা সঠিক ভাবে বলতে পারেননি।
এই বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষকদের আইবাস প্লাস সফটওয়্যারের অর্ন্তভূক্ত করার কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে যশোরে ইলেকট্রিক ফ্যান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে আড়াই হাজার শিক্ষক এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পাননি।
যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেসেঞ্জার/বিল্লাল/জেআরটি