ঢাকা,  বুধবার
২২ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

বগুড়ায় কৃষক দলের সভাপতি ও বরেন্দ্র বহুমূখীর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ

বগুড়া ব্যুরো 

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়ায় কৃষক দলের সভাপতি ও বরেন্দ্র বহুমূখীর নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

বগুড়া জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম রনি ও বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী টি এম শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাবতলী উপজেলার সৈয়দ আহম্মেদ কলেজ সুখানপুকুর এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী বাবলী আক্তার।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর মৌজার সাবেক দাগ নং- ৬০৭, আমার জমির উপর বরেন্দ্র নলকুপ স্থাপন করা আছে। শুরু থেকেই সরকারী প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ আসে ক্রমে আমরা উক্ত বরেন্দ্র নলকুপর অপারেটরের দায়িত্ব ২০১১ সাল থেকে পালন করে প্রায় ১৮০ বিঘা ধানের জমিতে সেচকার্য পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। কিন্ত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বরেন্দ্র নলকুপ স্থাপনের স্থানে যাদের নিজস্ব কৃষি জমি থাকবে কেবলমাত্র তারাই উক্ত বরেন্দ্র নলকুপের অপারেটরের দায়িত্ব নিতে পারবে। সেই ক্ষেত্রে আমরাই অপারেটরের যোগ্য।

দুঃখের বিষয় বগুড়া জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম রনি'র কালো থাবার কাছে যেন সকল সরকারি নিয়ম শৃংঙ্খলা ও আইন কানুন তুচ্ছ হয়ে গেছে। জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনি'র দাপটে বরেন্দ্র অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যেন আতংকের নাম হয়ে দাঁড়িয়াছে। যে বৈষম্যের জন্য আমরা রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে দেশ ২য় বারের মতো স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই বৈষম্য বগুড়া জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনি পূর্বের ন্যায় এখনোও বিরোধিতা করে আসিতেছে।

আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিকট বিচার জানাচ্ছি যে আপনি যদি জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনি'কে থামাতে না পারেন তাহলে আমরা অনেক গবীর পরিবার তার কালো থাবা থেকে নিঃশ্ব হয়ে যাবো এবং আপনার প্রচেষ্টায় দেশ ২য় স্বাধীনতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে দাঁড়াবে। বরেন্দ্র অফিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, আমরা আর অপারেটারের কাজ করতে পারব না।

কারণ জানতে চাইলে বরেন্দ্র অফিসের উপ-সহকারি টি.এম.শফিকুল ইসলাম আমাকে বলেন এখন জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রনি অন্য পক্ষের নিকট থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে। উক্ত টাকা যদি আপনি তাকে ফেরৎ দেন তাহলে রনি আপনার পক্ষে কথা বলবে এখানে আমাদের করার কিছু নেই। আমি উক্ত উৎকোচ এর টাকা দিতে না পারায় বারংবার বরেন্দ্র অফিসে যাই। নির্বাহী প্রকৌশলী টি.এম.শফিকুল ইসলাম নিয়মিত অফিসে না বসায় আমি বরেন্দ্র অফিস থেকে ঘুরে আসি। শফিকুলের এই সব কথা শুনে আমি দিশেহারা হয়ে যাই। ত ৫ জানুয়ারি গাবতলী নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করি। জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিযার রনি'র কালো থাবা থাবায় নির্বাহী কর্মকর্তাও তার ভয়ে কোনঠাসা হয়ে আছে। আমি দেশবাসী ও জনাব তারেক রহমান সহ সকল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আমি একজন বিধবা মহিলা যাতে আমার অপারেটরের দায়িত্ব কোন কালো থাবার স্বীকার না হই। আমি যেন আমার এতিম ছেলে মেয়ের মুখে দুইবেলা ভাত তুলে দিতে পারি এই মানবিক সহযোগিতায় সংশয় সকলের সহযোগিতা চাই। এসময় অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

মেসেঞ্জার/আলমগীর/তুষার