ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার অভিযোগে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানা-পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। নগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতিয়ার রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডিবি পুলিশ তাকে আদালতে তুলবে।
জাকির হোসেন অমির গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগরের ছোটবনগ্রাম এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। মাদকাসক্তি ও টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর তাকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে অমিকে তার ভাড়া বাসার সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে র্যাব ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ সময় আব্দুর রশিদ (৫০) ও মীম ইসলাম (৩০) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। মীম হলেন আব্দুর রশিদের গাড়িচালক। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের মামলা করেছেন অমির বাবা আমির হোসেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ রাজশাহীর সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ঠ। তার সঙ্গে জমির ব্যবসায় নেমেছিলেন অমি। জমি ও প্লট বিক্রির টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ থেকে অমিকে তুলে নিয়ে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন রশিদ। এ ঘটনা জানাজানি হলে নতুন করে আলোচনায় আসেন সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার