ক্যাপশন : কর্মী সম্মেলনের পরদিন শহর থেকে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করে নিচ্ছেন মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা -টিডিএম।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শহর থেকে সব ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কর্মী সম্মেলনের পর বিকেল থেকেই জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে নেমে পড়েন।
রবিবার মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী, সেক্রেটারী ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আশরাফুল আলম ইমন এবং সাংগঠনিক সেক্রেটারী জসিম উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে দলের কর্মীদের নিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে দেখা যায়।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে শনিবার কর্মী সম্মেলন করে জেলা ও মহানগর জামায়াত। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাঁর আগমন উপলক্ষে পুরো শহরেই ব্যানার-ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছিল। মোড়ে মোড়ে সুউচ্চ তোরণে সেজে উঠেছিল রাজশাহী।
তবে ব্যানার-ফেস্টুনের সমালোচনা করেন অনেকে। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কর্মী সম্মেলন শেষ হলে তারা নিজ উদ্যোগেই সব অপসারণ করে নেবেন। সে অনুযায়ী সব ব্যানার-ফেস্টুনই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে শহর ঘুরে কোথাও ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়নি। রাজশাহীতে কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির পর এভাবে দলের পক্ষ থেকেই সব ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিতে এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারী আশরাফুল আলম ইমন বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। কর্মী সম্মেলন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমরা ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিতে নেমে পড়ি যেন শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট না হয়। এর ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সব ব্যানার-ফেস্টুনই সরিয়ে নিয়েছি। এখনও যদি কোথাও দু’একটি ব্যানার-ফেস্টুন থেকে থাকে, তাহলে সেটি দেখামাত্রই আমাদের লোকজনই সরিয়ে নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এত বড় একটা সমাবেশ হলো, প্রায় লক্ষাধিক নেতাকর্মী এসেছিলেন। আমরা কিন্তু কোনো বাসও শহরের মধ্যে ঢোকাইনি। সব বাস শহরের বাইরে রেখে নেতাকর্মীরা হেঁটে সমাবেশস্থলে গিয়েছেন। ফলে শহরে যানজটও হয়নি। কোনো মানুষের দুর্ভোগও হয়নি।’
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার