ছবি : মেসেঞ্জার
‘পানি উন্নয়ন বোর্ড আমার ঠাপই সামলাতে পারে না, আবার জর্জ সাহেবের ঠাপ সামলাবে’- এমনটা বলছে সাবেক এমপির ছেলে লোকমান হোসেন নামের এক সাব ঠিকাদার।
ভাই জর্জ হওয়ার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসর কটেজের মাছ চাষের পুকুর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে জবর দখল করে আসছে লালমনিরহাট ১ আসনের আওয়ামী সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন এর ছেলের লোকমান হোসেন নামের এক সাব ঠিকাদার। এছাড়াও ডালিয়া সিমান্ত বাজার এলাকায় জমি দখল ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে লোকমান হোসেনের সাথে কথা হলে এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমার ঠাপই সামলাতে পারে না আবার আমার জর্জ সাহেবের ঠাপ লাগে? টেন্ডার সর্ম্পকে আপনি কতটুকু জানেন? টেন্ডার বাণিজ্য ২০১২ সালের ওই দিকে হতো। আপনি যে পুকুরের কথা বললেন সেখানে আমি পাহারাদার হিসেবে আছি। সেখানে আমি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন মাছ ছেড়েছি। পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারী, সাংবাদিক, পুলিশ ডিআইজিরা ও সেনাবাহিনী অফিসাররা এসে মাছ মেরে নিয়ে যায়। আপনার লাগলে আপনিও কালকে আসেন।
আপনি কিসের বলে সেখানে পাহারা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সেখানে মাছ ছাড়ি না, পানি উন্নয়ন বোর্ড ছাড়ে সেখানে তুলে খাই। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে চুক্তি আছে। আপনি অনেক সময়ে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি সাংবাদিকতার পরিচয় আপনাকে কি দিয়েছি? পুকুর দখলের অ্যাসাইনমেন্ট আপনাকে কী অফিস থেকে দিয়েছে? ভাই হিসেবে বলেন! যদি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে থাকে তাহলে বিশাল ব্যাপার। অ্যাসাইনমেন্ট যেহেতু চাকরির ব্যাপার করাই লাগবে, না করলে উপায় কী বা নেই সেটা বলেন তো আপনি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি কর্মকর্তা অমিতাভ চৌধুরী জানান, আমার জানা মতে অবসরের পুকুরটি কেউ খাচ্ছে না। আমি আসার আগে সে মনে হয় খাইতো। তাকে কোনো ধরনের লিজ দেওয়া নেই। সে কখন মাছ ছাড়ছে আমার জানা নেই, আমার সময়ে সে মাছ ছাড়ে নাই। আমার ঠাপ সামলাতে পারে না, আবার জর্জ সাহেবের ঠাপ সামলাবে তাহলে আপনার অফিসে তার অধিপত্য বিস্তারের মূল কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো দাপট নেই, কিসের দাপট? পাউবো কি ওনার পৈত্রিক সম্পত্তি নাকি? এটা সরকারী সংস্থা। ওনি কোনো কাজেই পায়নি বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে। পুকুরের বিষয়ে আমরা বোর্ডকে চিঠি পাঠাবো সেটি লিজ দেওয়া জন্য। সরকারী সম্পত্তি কারো কাছে ঋনী নয় বলে এমটা জানিয়েছে তিনি।