ছবি : মেসেঞ্জার
দাফনের ৫ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুরের বিরলে কবর থেকে তোলা হলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে অংশ নিয়ে ঢাকায় নিহত হওয়া আসাদুল হক বাবুর মরদেহ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসতেহাক আহমেদের উপস্থিতিতে আসাদুল হক বাবুর গ্রামের বাড়ী বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের পাকুড়া কবস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পঠানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সিআইডি’র ইন্সপেক্টর ইরফান আলী, বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর প্রমূখ।
সিআইডি’র ইন্সপেক্টর ইরফান আলী জানান, মৃত্যুর পর তার মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। তাই বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিতে লাশ পাঠানো হবে এবং ময়না তদন্তের পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পক্ষে মিছিলে যোগদানের জন্য আসাদুল হক বাবু বের হয়। পথিমধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্থা এলাকায় পৌছালে গুলির আঘাতে তিনি নিহত হন। পরবর্তীতে তার বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মামলার দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডিকে এবং মামলার প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
দিনাজপুর জেলার মোট ৮জন রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত হয়েছেন।
মেসেঞ্জার/কুরবান/তুষার