ঢাকা,  মঙ্গলবার
২১ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

বগুড়ায় আলুক্ষেত ‘উইল্ড’ রোগে আক্রান্ত দিশেহারা কৃষক

বগুড়া প্রতিনিধি   

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়ায় আলুক্ষেত ‘উইল্ড’ রোগে আক্রান্ত দিশেহারা কৃষক

ছবি: মেসেঞ্জার

বগুড়া জেলার আলু উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয় শিবগঞ্জ উপজেলায়। সেই শিবগঞ্জে  হঠাৎ করেই এবার ভরা মৌসুমে আলুক্ষেতে ‘উইল্ড’ রোগ দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা পড়েছেন আলুচাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৮ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ১৯ হাজার চারশ’ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে ৬শ’ ২০ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে। এতে গড় ফলন হয়েছে ১৬ মেট্রিকটন। গত বছর আলু উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভ বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা এবছর বেশি জমিতে আলুর চাষ করেছেন। কিন্তু ‘উইল্ড’ রোগ দেখা দেওয়ায় তারা পড়েছেন চরম বিপাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেদিনীপুর গ্রামের মাঠে কয়েকজন আলুচাষি জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ ছিটাচ্ছেন। ঠিক কী কারণে আলুগাছ মরে যাচ্ছে তা তারা  জানেন না। কৃষকরা জানান, এ রোগের কারণে আলুগাছ মরে যাচ্ছে। এমনিতেই এবার আলুর দাম কম, কী হবে আমাদের ভাগ্যে বুঝতে পারছি না।

শিবগঞ্জ ইউনিয়নের মেদিনীপাড়া এলাকার আলুচাষি মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি চার বিঘা জমিতে স্টিক জাতের আলুর চাষ করেছি। জমির মাঝে মাঝে আলুগাছ নেতিয়ে পড়ে মরে যাচ্ছে। এমন রোগ এর আগে কখনও আলুক্ষেতে দেখিনি। দিন দিন বাড়ছে এ রোগের প্রকোপ। আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

বিহার এলাকার কৃষক লুৎফর রহমান জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছেন। সে জমিগুলোর আলুর গাছ মরে যাচ্ছে।  কি রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলতে পারেন না। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দিচ্ছেন, কিন্তু কোন সুফল পাচ্ছেন না।

উপজেলার মেদিনীপুর এলাকার কৃষক হাফিজার রহমান বলেন, ‘৩০ দিন আগে আলু রোপণ করেছি। আলুর গাছগুলা দেখে মনে হচ্ছিলো ফলন ভালো হবে। কিন্তু আলুগাছ মাঝে মাঝে নেতিয়ে পড়েছে। ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ব্যাকটেরিয়াল উইল্ড একটি মাটিবাহিত রোগ। এ রোগের জীবাণু শিকড়ের ক্ষতস্থান দিয়ে গাছে প্রবেশ করে এবং পানি-পরিবহন নালীর মধ্যে বংশ বিস্তার করে নালী পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে পাতা ও গাছ সবুজ অবস্থায় নেতিয়ে পড়ে। এভাবে কয়েক দিনের মধ্যে সবুজ অবস্থাতেই গাছটি মরে যায়। এ রোগাক্রান্ত গাছ দেখা মাত্র তুলে ধ্বংস করতে হবে। 

তিনি বলেন, আলুচাষিদের এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 
 

মেসেঞ্জার/আলমগীর/জেআরটি