ছবি : মেসেঞ্জার
যশোরের ঝিকরগাছায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারপিট ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ঐ শিশু শিক্ষার্থীর মা বিউটি খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি ক্লাস চলাকালীন সময়ে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনকে মারধর করে। এতে করে ইমরান হোসেনের ঠোঁটের উপরে কেঁটে যায় এবং মাথায় ফোলা জখম হয়। এসময় তার ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হয়।
তিনি লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, এর আগে তার কন্যা সুমাইয়া খাতুনকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় নির্যাতন করেছিলেন রুহুল আমিন। বিষয়টি স্কুলে জানালে সুমাইয়ার সাথে প্রায় খারাপ ব্যবহার করতো শিক্ষক রুহুল আমিন। ফলে তাকে স্কুল ত্যাগ করাতে বাধ্য হয়েছিল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা দেখা গেছে, শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক শিশু শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের একাধিক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ তাকে একাধিকবার সতর্ক ও নিষেধ করার পরও শিক্ষক রুহুল আমিন কাউকে গ্রাহ্য করেন না।
সরকারি বিধিমোতাবেক কোন শিক্ষার্থীকে শারীরিক প্রহার না করার উপরে নিষেধ থাকার পরেও তিনি একের পর এক শিক্ষার্থীকে মারপিট ও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জানার জন্য সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিনকে কল করলে তার মোবাইল (০১৯৩৫০৩৬৯২২) ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কমিটির সাথে আলোচনা করে দেখবো কি করা যায়। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সঞ্চয় ঘোষাল জানান, ২৩ তারিখে ওখানে আমাদের সাবক্লাস্টার আছে। এর পরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবো।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তুষার