ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে সুফি দর্শন ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার উপর ভিত্তি করে নির্মিত নাটক ‘পাখিদের বিধান সভা’ এর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (ডিরি) উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে দর্শকরা সুফি আদর্শের গভীর বার্তা উপভোগ করেন। নাটকটি পরিবেশনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার ও পারফরমিং স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
পারস্যের প্রখ্যাত সুফি কবি ও দার্শনিক হযরত ফরিদউদ্দীন আত্তার (রহ.) রচিত ‘মানতিকুত তোয়ায়ের’ অবলম্বনে বহুমাত্রিক গবেষণার মাধ্যমে ‘পাখিদের বিধান সভা’ নাটকের রচয়িতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শাহমান মইশান। নির্দেশনা দিয়েছেন ড. মো. আহমেদুল কবির, আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন ধিমান চন্দ্র বর্মন, এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নাবেদ রহমান। নাটকটি সুফি সাহিত্য ও দর্শনের এক ব্যতিক্রমী পরিবেশনা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এতে প্রতীকী আখ্যানের মাধ্যমে মানুষের আত্মিক যাত্রা এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়নের কাহিনি ফুটে ওঠে।
গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ এরহাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ সাদী, ভারতের ড. শেখ মকবুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুনমুন নেসা চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের নাদিরা ইসলাম, মিশকাতুল মোমতাজ, কৌশিক আহমেদ এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ মুহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুল আচফিয়া, শিক্ষাবিদ ড. শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৈয়দ আয়াজ মাবুদ।
সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, “সুফি দর্শন আমাদের নৈতিক উন্নতি ও আত্মিক প্রশান্তির শিক্ষা দেয়। এই নাটক দর্শকদের মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রতি গভীর অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
‘পাখিদের বিধান সভা’ নাটকটি সুফি সাহিত্যের আখ্যান থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে পাখিদের একটি দল তাদের নেতা হুদহুদের নেতৃত্বে আধ্যাত্মিক গন্তব্যে যাত্রা করে। প্রতীকীভাবে, এটি মানুষের নৈতিক উন্নয়ন ও পরম সত্যের সন্ধানের প্রতিফলন। নাটকটি দর্শকদের মধ্যে গভীর আবেগ ও চিন্তার উদ্রেক করে। 'পাখিদের বিধান সভা' নাটকটি দর্শকদের হৃদয়ে সুফি শিক্ষার গভীর বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
মেসেঞ্জার/এসকে/ইএইচএম