ঢাকা,  বুধবার
২২ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহের হার কমানোর স্থায়ী সমাধানের প্রকল্প প্রস্তাবনায় ৫ সংগঠন পেল চেক

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:০১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

কুড়িগ্রামে বাল্যবিবাহের হার কমানোর স্থায়ী সমাধানের প্রকল্প প্রস্তাবনায় ৫ সংগঠন পেল চেক

ছবি : মেসেঞ্জার

মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস) এর সিএনবি প্রকল্পের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী স্থানীয় যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের ইনোভেশন ল্যাব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রশিক্ষণ শেষে যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে বাল্যবিবাহের নেপথ্যের কারণসমূহ চিহ্নিত করে স্থায়ীভাবে সমাধানের লক্ষ্যে বিশেষ করে কুড়িগ্রাম জেলায় বাল্যবিবাহ এবং জোড়পূর্বক বিবাহের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্থানীয়-টেকসই-ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা আহবান করা হয়।

এতে ৩ উপজেলা ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারীর ৩১টি যুব সংগঠন ও তার প্রতিনিধিরা প্রকল্প প্রস্তাবনা দাখিল করেন। তাদের প্রস্তাবনাগুলো যাচাই বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে ৫টি যুব সংগঠনকে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এরপর মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রত্যেক যুব সংগঠনকে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
 
এতে উপস্থিত ছিলেন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, লিডারশিপ সিএনবি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার  মোহাম্মদ ইলিয়াছ আলী প্রমূখ।

চেকপ্রাপ্ত যুব সংগঠনগুলো হলো- নাগেশ্বরী পৌর যুব সংগঠন, বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন সংগঠন, রায়গঞ্জ ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন সংগঠন, তিলাই ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন সংগঠন, শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন সংগঠন।

উল্লেখ্য, নরওয়ের টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা নরয়েজিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (টেলিথন) এর আর্থিক এবং প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগীতায় মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস) ও আরডিআরএস বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নে চাইল্ড, নট ব্রাইড (সিএনবি) প্রকল্পটি কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার সকল ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক নিয়ম, মূল্যবোধ ও অনুশীলনের পরিবর্তন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মেয়েদের নেতৃত্বের প্রচার করা। মেয়েদেরকে মেন্টরশিপ প্রদান করা যাতে করে তারা নিজেদের পক্ষে দাঁডাতে পারে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের দিকে ধাবিত হতে পারে।

যুবদের সক্রীয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে তাদের নিজেদের জীবনের দায়িত্ব নেয়ার জন্য তাদের কণ্ঠস্বর শোনানোর জন্য তাদের জড়িত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাতে করে তারা তাদের পরিবার এবং সমাজের মধ্যে পরিবর্তনের মূল এজেন্ট হতে পারে।

এছাড়াও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চিহ্নিত সমস্যা বা বাঁধাগুলি সমস্যা সমাধানে যুব সংগঠনের সক্রীয় অংশগ্রহন নিশ্চিত করা এবং নীতিনির্ধারকগণকে প্রভাবিত করবে। যুবরা, বিশেষ করে মেয়েদের জেন্ডার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করবে যা ব্যবহারিক চ্যালেঞ্জ এবং বাঁধাগুলি প্রতিরোধ করার উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের পরিচয়, সমাজ তথা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

মেসেঞ্জার/আনন্দ/তারেক