ছবি : মেসেঞ্জার
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কে এম নুরুল ইসলাম এই রায় দেন। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন, তার মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা।
২০০৭ সালের ২৭ জুন দুদক যশোর অফিস থেকে শাহীন চাকলাদারকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। ওই বছর ১১ জুলাই তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তবে দুদকের তদন্তে তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার বিষয়টি উঠে আসে।
২০০৮ সালের ৩০ মার্চ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ। অভিযোগ ছিল, তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ ও দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।
২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোনা জারি করে আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক গাজী আব্দুল কাদির।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ মার্চ দুর্নীতি দমন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় শাহীন চাকলাদার পলাতক থাকায় গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/তুষার