
ছবি : মেসেঞ্জার
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে রাস্তার নির্মাণ কাজে নিন্মমানের বালু ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রেখেছে এলজিইডি অফিস। জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের পরমেশ্বরীপুর থেকে মুতির পয়েন্ট পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৯৯ লাখ টাকা। এই কাজের ঠিকাদার সুনামগঞ্জের রেনু মিয়া।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কাজের শুরুতে ইট না ধুয়ে ব্যবহার করেছেন এবং ঢালাইয়ের কাজে নিন্মমানের বালু ব্যবহার করছেন। এনিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার আপত্তি জানিয়েছে। কাজের অনিয়মের বিষয়ে এলজিইডি অফিসকেও জানানো হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে রাস্তার কাজ চলাকালে পরিদর্শনে আসেন উপজেলা এলজিইডি অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিন। এসময় তিনি রাস্তার নির্মাণ কাজে ইস্টিমেটের বাইরে নিন্মমানের বালু ব্যবহার করতে দেখে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পরমেশ্বরিপুর গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘এখানে শুরু থেকেই অনিয়ম হয়ে আসছে। আমরা একাধিকবার কাজের অনিয়মের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছি। আজকে নিন্মমানের বালু দিয়ে কাজ করার সময় এলজিইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়ার নিজে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করেন। টেকসই কাজ না হলে সরকারের বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমাণ টাকা কোনো কাজে আসবেনা। যথাযথ ভাবে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হোক।’
ঠিকাদার রেনু মিয়া বলেন, ‘সাইটের কাজে বালু সাপ্লাই দেওয়া নিয়ে এখানে স্থানীয় দুইটা গ্রুপের নিজেদের মধ্যে সমস্যা চলছে। নিন্মমানের বালু হওয়ায় আমি নিজেই এসব বালু দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেছি। কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছেনা।’
দোয়ারাবাজার এলজিইডি অফিসের উপসহকারি প্রকৌশলী মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, ‘চিকন বালু ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। এখানের কাজে এই বালি এ্যালাউ না। এমনিতে কোনো অনিয়ম হচ্ছেনা। ইট আমাদের নির্দেশনা মতো ভিজিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
মেসেঞ্জার/আশিস/তারেক