ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একেএম শহিদুল ইসলাম (৫০) হত্যা মামলায় আসামী হয়ে দীর্ঘদিন যাবত পলাতক রয়েছেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। এতে পরিষদের জরুরী সেবা কাজে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একটি হত্যা মামলার আসামী সাইফুল ইসলাম। এতে গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত তিনি পরিষদে অনুপস্থিত রয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে জরুরী সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে পরিষদে এসে নাগরিকত্ব, জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, প্রত্যয়নপত্র, ওয়ারিশসনদ, মৃত্যুসনদসহ প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে সেবা প্রতাসীদের প্রতিনিয়ত ফিরে যেতে হচ্ছে শূন্য হাতে।
সরেজমিনে বুধবার দুপুরে বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে দেখা যায়, নাগরিকত্ব সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য দীর্ঘক্ষণ কেউ বসে বা দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু উপস্থিত নেই পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের কার্যালয়ে দেখা গেছে তালাবদ্ধ।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মামলা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী মহাসড়কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যার অভিযোগে ও একেএম শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় এজাহারে ৫৩ নম্বর আসামি করা হয়েছিল বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামকে।
মেসেঞ্জার/শুভ/তুষার