ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২৩ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

থানচিতে কেএনএফ আতঙ্কে পালিয়ে যাওয়া গ্রামে ফিরলো ১০ পরিবার

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:০৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১২:০৮, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

থানচিতে কেএনএফ আতঙ্কে পালিয়ে যাওয়া গ্রামে ফিরলো ১০ পরিবার

ছবি: মেসেঞ্জার

সম্প্রতিক সোনালি ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের ডাকাতি ঘটনায় কেএনএফের আতঙ্কে সৃষ্টির পালিয়ে যাওয়ার বম সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপত্তার জনিত বসতঘরে দীর্ঘ দশ মাসের পর বান্দরবানের রুমা ও থানচির সীমান্তের রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের বাকলাই পাড়ার ১০ পরিবার তাদের গ্রামের ফিরেছেন।

জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, গত ২০২৪ সালে ২রা এপ্রিলের দিনে-দুপুরে থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের কেএনএফের সদস্যরা ডাকাতি ঘটনার পরে বাকলাই পাড়া এলাকায় অভিযানে নামলে সশস্ত্র কেএনএফের সাথে যৌথবাহিনী গুলাগুলি হলে স্থানীয়দের আতঙ্কিত হয়। সেখানে বসবাসকারী ৩৮টি পরিবার বম সম্প্রদায়ের লোকজন অন্যত্র আত্মীয়স্বজন, বনজঙ্গল ও বাগান খামারে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এবং গত বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনী সহযোগিতায় বাকলাই পাড়ার ১০টি পরিবার বাসিন্দাদের তাদের গ্রামের প্রবেশ করছেন।

এদিকে বাকলাই পাড়ার বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১০ মাস বনজঙ্গলে পালিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেকেই। অনেক দিন পর নিজ পাড়ার বসতভিটায় ফিরতে পেরেছি। কেএনএফের সমস্যার কারণে সেখানকার লোকজন গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছিল। সেনাবাহিনী সহযোগিতায় নিজ বাড়ি বাকলাই পাড়ায় ফিরতে পেরে খুবই আনন্দিত তাঁরা।

বসতবাড়িতে ফিরে আসার বম সম্প্রদায়ের বাকলাই পাড়ার বাসিন্দা লালমিনসাং বম, জোয়ার মনি বম, জিলি বম’সহ অনেকেই জানান, কুকিংচিন সঙ্গে নিরাপত্তার বাহিনী সমস্যার কারণে এলাকার মানুষের আতঙ্কিত হলে বনজঙ্গল, আত্নীয়স্বজন ও বাগান খামারে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছি আমরা। সেখানে দীর্ঘ ৯-১০ মাস বেশি থাকার পরে নিজ গ্রামের আসছি। 

অন্যদিকে থানচির বাকলাই সেনা সাব-জোন ক্যাম্পের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মঈন জানান, বাকলাই পাড়ার অবস্থান পাহাড়ি ও দুর্গম এরিয়ায়। তাই বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি।

 

মেসেঞ্জার/চিংথোয়াই/জেআরটি