ঢাকা,  শুক্রবার
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ঠাকুরগাঁওয়ে জামায়াত প্রার্থী আব্দুল হালিমের সাথে গণঅধিকার প্রার্থী ফারুক হাসানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে জামায়াত প্রার্থী আব্দুল হালিমের সাথে গণঅধিকার প্রার্থী ফারুক হাসানের সৌজন্য সাক্ষাৎ

ছবি : মেসেঞ্জার

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে সৌহার্দপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হালিম এবং গণঅধিকার পরিষদের তরুণ প্রার্থী ফারুক হাসান সম্প্রতি সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। তাদের এই সাক্ষাৎ স্থানীয় জনগণ ও রাজনৈতিক মহলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

সাক্ষাতের সময় গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাজনৈতিক পরিবেশ চাই যেখানে প্রতিহিংসা বা বিভেদ থাকবে না। রাজনীতির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের সেবা করা। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি উন্নত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলি। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও সেটি যেন নৈতিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।’

অপরদিকে, মাওলানা আব্দুল হালিমও এই সৌজন্য সাক্ষাৎকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘রাজনীতি কোনো বিদ্বেষ বা প্রতিহিংসার জায়গা নয়। মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনই রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমরা সবাই মিলে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে চাই।’

সাক্ষাতের সময় দুই প্রার্থীই তাদের দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন এবং একইসঙ্গে একটি সৌহার্দপূর্ণ ও গঠনমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক দেশের রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। বরাবরই নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়, কিন্তু এই সাক্ষাৎ দেখিয়েছে যে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রার্থীরাও এক টেবিলে বসে আলোচনা করতে পারেন।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে নির্বাচনের উত্তাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দুই প্রার্থীই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। একদিকে মাওলানা আব্দুল হালিম তার অভিজ্ঞতা ও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন পেতে কাজ করছেন, অন্যদিকে ফারুক হাসান তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে নতুন সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।

স্থানীয় জনগণ এই সৌহার্দপূর্ণ সাক্ষাৎকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এবং আশা করছে, রাজনীতিতে এমন উদারতা ও শালীনতা টিকে থাকবে। জনমনে এই সাক্ষাৎ নতুন আশার সঞ্চার করেছে যে, দেশের রাজনীতি ভবিষ্যতে আরও মানবিক ও উন্নয়নমুখী হবে।

মেসেঞ্জার/আরিফ/তুষার