
ছবি : মেসেঞ্জার
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর গ্রামের আবু হায়াতের বাড়িতে থাকা অস্ত্রধারী ডাকাতদের ধরতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ডাকাত দলের সদস্যদের ছোড়া গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ দুই নারীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে তিন জন ডাকাত দলের সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই কোরবান আলী বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব তার কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ঘটনায় এসপি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর গ্রামের আবু হায়াত বাড়িতে ১৫/১৬ জনের ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছে বলে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ওসি জানতে পারেন। তিনি জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, ক্ষেতলাল ও কালাই থানা পুলিশ রাত নয়টার পর ঘটনাস্থলে যায়। ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা আবু হায়াতের বাড়ির চারপাশে ঘেরাও করে রাখেন।
পুলিশ সদস্যরা ডাকাত দলের সদস্যদের আত্নসমর্পনের আহ্বান জানান। ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছনে হটিয়ে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আরও অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স চায়। এরপর জয়পুরহাট সদর থানা, পাঁচবিবি থানার জয়পুরহাট পুলিশ লাইনসের ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ সদস্য লক্ষ্য করে ডাকাতেরা আবারও এলোপাতাড়ি গুলি করে ৮-১০ জন ডাকাত পালিয়ে যান।
এসময় ডাকাত দলের গুলিতে কনস্টেবল মিজানুর রহমান আহত হন। পুলিশের পাল্টা গুলিতে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা বাড়ির ভেতরে লুকিয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের সদস্য মো. মাজের আলী ওরফে খোকা (৪৮), আব্দুল মাজেদ (২৬), প্রশান্ত রবিদাস (২৭), মোমেনা খাতুন (২৩) স্মৃতি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কোদাল, নগদ ৪১ হাজার টাকা, দুটি বটি, দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। ডাকাতদের আত্নসমর্পন করতে বলা হয়েছিল। ডাকাতেরা আত্নসমর্পন না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে মিজানুর রহমান নামে এক কনস্টেবল গুলিতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/রমি/তুষার