ঢাকা,  শনিবার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ভোলার মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালের করুণ অবস্থা, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

ভোলার মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালের করুণ অবস্থা, যাত্রী ভোগান্তি চরমে

ছবি: মেসেঞ্জার

তিন যুগ পূর্বে নির্মিত ভোলা জেলা বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করার পর এ যাবত কোন ধরনের উন্নয়ন বা সংস্কার না করায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণের চলাচলে দূর্ভোগের কারণ হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য যে, ভোলা পৌরসভার তত্বাবধানে ১৯৮৮ সালে ভোলার মূল শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভোলা চরফ্যাশন সড়কে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনালটি নির্মিত হয়। যা ভোলার সাথে প্রতিদিন সাতটি উপজেলার ও ভোলা-বরিশাল-খুলনা ও ভোলা চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী কয়েক শ’ বাস চলাচলের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এখন থেকে তিন যুগ পূর্বে এসব রুটে যেখানে ৬০/৭০ টি যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করতো সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ২ শতাধিক বাস মিনি বাসে কয়েক হাজার যাত্রী অভ্যন্তরিণ ও বাহিরের জেলায় যাতায়াত করে। অথচ এসব হাজার হাজার যাত্রী বাস টার্মিনালে নূন্যতম সুযোগ সুবিদা ও পাচ্ছেন না।

যাত্রী সাধারণের জন্য বাস টার্মিনালে রেস্ট নেয়ার জন্য কোন বিশ্রামাগার, লেট্রিন, বাথরুম, হোটেল, নামাজের ব্যবস্থাসহ কোন ধরনের নূন্যতম সুযোগ সুবিধা নেই। ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ অবনর্নীয় দূভোগের মধ্যেই তাদের গন্তব্যে চলাচল করেন।

অপরদিকে বাস রাখার জন্য নির্ধারিত স্থান না থাকায় বিভিন্ন রুটের বাসগুলো এলোপাতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যার ফলে যাত্রীদের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় ও তাদেরকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। টার্মিনালের অভ্যন্তরের রাস্তাগুলো সম্পূর্ণ ভেঙেচুরে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই টোটাল টার্মিনাল এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তখন যাত্রীদের কাদাপানির মধ্যেই বাসে ওঠা-নামা করতে গিয়ে অনেকে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় যে, তিন যুগ আগে নির্মিত টার্মিনাল ভবনটিসহ পুরো এলাকার বাউন্ডারি ওয়ালটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বসে গিয়েছে। এ ছাড়া ও একমাত্র ভবনটির দরজা জানালা ভেঙে চুরে পলেস্তারা খসে বি্ল্ডিংটি ধ্বসে পড়ার অবস্থায় অব্যবহৃত পড়ে আছে। স্থানীয়রা জানান রাত্রী বেলায় ব্লিডিংটিতে বহু ধরনের অসামাজিক কার্য্যকলাপ চলে।

এ ব্যাপারে ভোলা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন আরজু জানান, বাস টার্মিনালের উন্নয়ন কাজের জন্য নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলেই নুতনভাবে কাজ শুরু করা হবে।

তবে স্থানীয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা চাই পুরনো বাস টার্মিনালের জায়গায় আধুনিক মানের যুগোপযোগী বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হোক।

মেসেঞ্জার/কামাল/তুষার