ঢাকা,  বুধবার
২৯ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

রাজশাহী সুগার মিলে চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর : প্রতিবাদে ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২০:৪৩, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহী সুগার মিলে চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর : প্রতিবাদে ভাংচুর

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজশাহী সুগার মিলে চিনির দাম বেশি চাওয়ার প্রতিবাদ করায় করনিক শাহিনুর রহমান এবং ওজনদার মারফুল ইসলাম দুলাল মিলে মৌসুমী চালক রফিকুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে মৌসুমী চালক রফিকুলকে মারধরের প্রতিবাদে স্থানীয়রা সুগার মিলের প্রশাসনিক ভবনে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় তারা ওজনদার মারফুল ইসলাম দুলালকে পিটিয়ে আহত করে। এদিকে পাল্টাপাল্টি মারপিটে রফিকুল ইসলাম ও মারফুল ইসলাম দুলালকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৌসুমী চালক রফিকুলের অভিযোগ, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনির দাম ৬ হাজার ২০০ টাকা। তিনি চিনি নিতে গেলে করনিক শাহিনুর ৬ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন। এসময় তিনি প্রতিবাদ করলে করনিক শাহিনুর এবং ওজনদার মারফুল বাকবিতন্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা, তাকে মারধর করেন। এসময় তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে চলে যান। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাসায় যেতে দেখে ‘এলাকার ছেলেরা’ চিনিকলে হামলা চালায়। রফিকুল দাবি করেন, তিনি নিজে ঐ হামলায় যাননি। আহত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তিনি রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

তবে রেশন করনিক শাহিনুর রহমান দাবি করেন, বেলা ১২টার দিকে রফিকুল ইসলাম রেশনের এক মণ চিনি নিতে আসেন। এ সময় তার কাছে চিনির দাম ছাড়াও বস্তার দাম বাবদ আরও ২০ টাকা চাইলে তর্কবিতর্ক শুরু করেন। এর জেরে রফিকুল ফোন করে তার নিজ এলাকা শ্যামপুরের লোকজনকে ডাকেন। কিছুক্ষণ পর অন্তত ১০ থেকে ১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এসে প্রশাসন ভবনে হামলা করে। এ সময় রেশম করনিক শাহীনুর ও ওজনদার মারফুলকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে শাহিনুর সেখান থেকে পালিয়ে গেলেও দুলালকে রক্তাক্ত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যদেরও ধাক্কা দেওয়া হয়।

রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘হামলাকারীরা তিনতলা প্রশাসন ভবনের প্রতিটি ফ্লোরেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষ ভাংচুর করেছে। চেয়ার, টেবিল ও টেবিলের কাঁচ ভাঙা হয়েছে। সাতটি কম্পিউটার ও প্রিন্টার ভেঙে ফেলা হয়েছে। চিনি বিক্রির কিছু টাকাও লুট হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা দ্রুতই থানায় অভিযোগ দায়ের করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেন এমন ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনই বলতে পারছি না। পুলিশ এসেছে, তদন্ত শুরু করেছে।’

নগরীর কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, ‘আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। হামলার খবর শুনেই আমরা এসেছি। প্রাথমিক তদন্ত চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার