ছবি: মেসেঞ্জার
গত বছরের মৌসুমে পাহাড়ি অঞ্চলে জুম চাষীদের জুমের ধানের ফসল সঙ্গীর মরিচ চাষের ভালো ফলন পাননি। বৈরী আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় বন্যা কারণে বান্দরবানের থানচিতে জুম চাষীদের জুমের মরিচ ফলন ভালো না হওয়ায় বাজারে শুকঁনো মরিচ সংকটের আশঙ্কার বেশি দেখা দিয়েছেন। সরবরাহ সংকট সৃষ্টি হওয়ায় বাজারে শুকঁনো মরিচের দাম অনেক বেড়েছে।
সাপ্তাহিক বাজারে বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিক্রি করতে আসার শুকঁনো মরিচের দাম কিছুটা কম থাকলেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৮শত থেকে ৯শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো খুচরা অসাধু বিক্রেতা ১ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, উপজেলার ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র একমাত্র থানচি বাজার। বাজারে অধিকাংশ সবজি জেলা শহর থেকে আসে। তবে কিছু কিছু সবজি ও পাহাড়ি কাঁচা ও শুকঁনো মরিচসহ জুমের ধানের সাথে চাষ করার সবজিগুলো স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায়। জুমের কাঁচা মরিচ ফলন ভালো না হওয়ায় শুকঁনো মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। শুকঁনো মরিচ শহর থেকে আসলেও সীমিত পরিসরে আসছে, ধন্যার শুকঁনো মরিচ পাহাড়ের বেশি চাষ হয়। মৌসুমে জুমের মরিচ ফলন ভালো না হওয়ার ফলে বাজারে শুকঁনো মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে অসাধু খুচরা বিক্রেতারা।
সরেজমিনে থানচি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক বাজারে দিন ছাড়া অন্যদিনের খুচরা বিক্রেতা সীমিত পরিমাণ দেশি শুকঁনো মরিচ বিক্রি করছেন। বাজারে শুকঁনো মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭শত থেকে ৮শত টাকায়। কিন্তু সাপ্তাহিক বাজার দিনের ছাড়া অন্যান্য দিনের খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি শুকঁনো মরিচ সাড়ে ৯শত থেকে ১ হাজার টাকার বেশি দামের বিক্রি করছেন। দাম শুনে শুকঁনো মরিচ কিনছেন না অধিকাংশ ক্রেতারা।
এদিকে ক্রেতারা বলেছেন, পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষের জুমের কাঁচা মরিচ ফলন ভালো না হওয়ায় বাজারে শুকঁনো মরিচ চড়াও দামে বিক্রি করেছে অনেকেই। প্রতিবছরে এই মৌসুমে শুকঁনো মরিচ ৫শত থেকে ৬শত টাকার হলেও এবছরে ৯শত থেকে ১ হাজার টাকার বেশি প্রতি কেজি দাম চাইছে বিক্রিতারা। থানচির বলিপাড়া বাজারেও একই দামের প্রতি কেজি শুকঁনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা।
অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রাকিব হাসান চৌধুরী জানান, বাজারে শুকঁনো মরিচসহ কাঁচামাল ও সবজি সরবরাহ না থাকলেও দাম বাড়তি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্টভাবে এসব অভিযোগ পেলেই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে অসাধুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/চিংথোয়াই/জেআরটি