ছবি : মেসেঞ্জার
হবিগঞ্জের সাবেক ৩ সংসদ সদস্য, ৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ২ পৌর মেয়র ও সাবেক পুলিশ সুপারসহ ৩১ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা ফজল মোহাম্মদের ছেলে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমেদ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত সালেহ আহমেদ ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির অর্থ সম্পাদক এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক ৩ এমপি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আবু জাহির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খান ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, মুশফিউল আলম আজাদ ও মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও আতাউর রহমান সেলিম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ জনকে আসামী করা হয়।
অভিযোগকারী সালেহ আহমেদ জানান, সাবেক এমপি আবু জাহির, আব্দুল মজিদ খান এবং ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত ৪ আগস্ট উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর স্বশস্ত্র হামলা চালিয়েছেন।
এতে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আন্দোলনকারী রিপন শীল। আহত হন শতাধিক আন্দোলনকারী। অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের যথাযথ তদন্তপূর্বক বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২ ও ৪ আগস্ট হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছুড়া গুলিতে মোস্তাক আহমেদ ও রিপন শীল নামে দুই জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/পাবেল/তুষার