ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩০ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন 

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:২৪, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন 

ছবি: সৌজন্য

যশোরে স্ত্রীর হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে যৌতুকলোভী স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন । সারা শরীরে ক্ষত চিহ্ন নিয়ে ভুক্তভোগী সেলিনা খাতুন (৩৫) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেলিনা খাতুন যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও ললিতাদাহ গ্রামের মৃত ফয়েজ আহম্মেদের মেয়ে। এ ঘটনায় স্বামী আনোয়ার হোসেন, শ্বাশুড়ি  সুফিয়া খাতুন, শ্বশুর আব্দুস সাত্তার ও ননদ মিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সেলিনার মা  রোকেয়া খাতুন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৬ বছর আগে রসুলপুর গ্রামের আনোয়ারের সাথে সেলিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে আনোয়ার। তার সাথে যোগ দেয় আনোয়ারের পরিবার। ইতিমধ্যে তাদেরকে ধাপে ধাপে টাকা ও মালামাল দেয় সেলিনার পরিবার। এর বাইরেও ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিসপত্র দেয়া হয় আনোয়ার ও তার পরিবারকে। সম্প্রতি ৭২ হাজার টাকা নেয় আনোয়ার। এরপর আরও টাকা এনে দিতে বলে। টাকা না দেয়ায় মঙ্গলবার সকালে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন সেলিনার দুই হাত ও পা বেঁধে মাটিতে ফেলে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে । মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

হাসপাতালে আহত সেলিনার স্বজন ললিতাদাহ গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, সেলিনাকে মারপিট করে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায় উঠানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে সেলিনার শিশু মেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যেয়ে সেলিনার মায়ের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপর রবিউল, সেলিনার মা রসুলপুর গ্রামে যেয়ে সেলিনাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে।

মেসেঞ্জার/বিল্লাল/জেআরটি