ছবি : সংগৃহীত
ভোলার চরফ্যাশনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগ উঠেছে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন হোসেন রাজুসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। রাতের আধাঁরে ট্রলারযোগে বিক্রির জন্য চুরির মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলারের মাঝি মো. নুরনবীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে জাহানপুর ইউনিয়নের তহশিলদার আবুল কাশেম বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৫ জনসহ অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামী করে শশীভূষণ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মালামাল চুরির ঘটনাটি বুধবার রাতে শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘটে। আটককৃত ট্রলারের মাঝি নুরনবী ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মজিবল গাজীর ছেলে।
জানা যায়, শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের চর হাসিনা গ্রামের আশ্রিতদের জন্য ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় আশ্রীতরা অন্যত্রে চলে যায়। এ সুযোগে জাহানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন রাজ ও তার চাচা নাসির মাঝিসহ ১০/১২ জনের একটি চক্র রাতের আধাঁরে ওই ঘরগুলো ভেঙে লোহার এ্যাংগেল ও টিন বিক্রির জন্য ট্রলারে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাত্রদল নেতা মো. মামুনসহ তার সহযোগীদের আটকের চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ট্রলারভর্তি লোহার মালামালসহ ওই ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আটক করে থানায় খবর দেন। রাতেই শশীভূষণ থানা পুলিশ চোরাই মালামাল জব্দ করেন। এবং ট্রলার মাঝি নুরনবীকে আটক করেন।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা মামুন জানান, কে বা কারা আশ্রয়ণের ঘর ভেঙে নিয়ে যায় এমন খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মালামালগুলো জব্দ করে পাঁচ কপাট বাজারে নিয়ে আসি। চুরির সাথে আমি জড়িত নই।
শশীভূষণ থানার ওসি তারিক হাসান রাসেল জানান, আশ্রয়ণের ঘর ভেঙে মালামাল চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আটককৃত ট্রলারের মাঝি নুরনবীকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মেসেঞ্জার/সাইফুল/তুষার