ছবি : সংগৃহীত
হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিননামা জালিয়াতির মাধ্যমে মাদক মামলার ৪ আসামি মুক্তি পেয়েছেন। আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিমছাইপৈর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুয়েল (২৬), কিরদাকাপন গ্রামের কিরন মিয়ার ছেলে আলী হোসেন আফজল (২২), শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ (২৩) এবং বীরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে শোয়েব মিয়া (২৭)। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আসামীরা কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি আইনজীবী ফয়সল আহমেদ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়। ১৬ জানুয়ারি দায়রা জজ আদালতে মিসকেস করা হয়। ২৬ জানুয়ারি বিচারক জেসমিন আরা বেগম এই আবেদন খারিজ করেন।
আইনজীবী ফয়সল আহমেদ জানান, তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন প্রস্তুতির জন্য আসামিদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, ৪ আসামী জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। এরপর তিনি আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিষয়টি যাচাই করে দেখেন মূল নথিতে জামিননামার কপি সংরক্ষিত নেই। এরপর কোর্ট পুলিশ অফিসের ডেসপাস রেজিস্ট্রার পর্যালোচনায়ও দেখতে পাওয়া যায় যে, কারাগারে ভুয়া জামিননামা পাঠানো হয়েছিল।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান জানান, আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারী যথানিয়মে জামিননামা কারাগারে নিয়ে আসেন এবং তাতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের স্বাক্ষর ছিল। যাচাই শেষে আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির শাকিল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছেন। তবে কোর্ট ইন্সপেক্টর নাজমুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৬:৪৫ মিনিটে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া রেলক্রসিং মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেট কার আটক করে র্যাব-৯, সিপিসি শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। গাড়ি তল্লাশিতে ৩৫ কেজি গাঁজা (মূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা) উদ্ধার করা হয় এবং চারজনকে আটক করে মাধবপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মেসেঞ্জার/পাবেল/তুষার