ছবি : মেসেঞ্জার
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রামগঞ্জে জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের জিয়া নাম বাদ দিয়ে রামগঞ্জ শপিং কমপ্লেক্স নামকরণ করে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদে কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে নকশা বহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিবাদে ও অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জিয়া শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়িরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে ৩ টার সময়ে শপিং কমপ্লেক্সের সামনে রামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কের পাশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়া শপিং কমপ্লেক্সের প্রধান সমন্বয়ক জাকির হোসেন হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ি মাসুদ আলম, মুকবুল হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৬ সালে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন দৃষ্টিনন্দন জিয়া শপিং কমপ্লেক্স মার্কেটটি নির্মিত হলে তৎকালীন সরকারের এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়া মার্কেটটি উদ্বোধন করেন। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের আর্থিক সুবিধার জন্য সুকৌশলে মার্কেটের মূল নকশা ও নাম পরিবর্তন করে অবৈধভাবে সরকারি দলের প্রভাব ও ক্ষমতার জোরে মূল ভবনের প্রথম তলায় দুইটি গেইট, সিড়ি ঘর ও লিফটের জায়গা বন্ধ করে ৭টি দোকান নির্মাণ করে। তৃতীয় তলার ওয়াশরুম বন্ধ করে একটি দোকান নির্মাণ করে।
এছাড়াও ভবনের দক্ষিণ পাশের নিরাপত্তার প্রাচীর ভেঙে ৭টি উত্তর পাশে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় ৪টি দোকান অবৈধভাবে নির্মাণ করে। শপিং ভবনের তৃতীয় তলার পূর্ব পাশে এক কোটি টাকায় নির্মিত কমিউনিটি সেন্টার ভেঙে নিলাম না দিয়ে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজশে দোকান বরাদ্দ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে।
শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান তার আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের নামে অবৈধভাবে ৪র্থ তলায় ৮৪ টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে প্রতিটি দোকান থেকে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সমূদয় টাকা আত্মসাৎ করেন।
রামগঞ্জ জিয়া শপিং কমপ্লেক্সর সমন্বয়কারি জানান, মার্কেটের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য অবৈধ দোকানগুলোর বরাদ্দ বাতিল ও উচ্ছেদ চেয়ে একটি স্মারকলিপি তারা জেলা প্রশাসকের কাছে অর্পণ করেন।
মেসেঞ্জার/জাকির/তুষার