ছবি : মেসেঞ্জার
পাহাড়ি জনপদের জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলের মাঠজুড়ে বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। ঘন কুয়াশা এবং মাঘের হাড়কাঁপানো কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেছে স্থানীয় চাষিদের।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বগাচতর, গুলশাখালী, কালাপাকুজ্জ্যা, আটারকছড়া সহ লংগদু সদর, ভাসান্যাদম ও মাইনীমূখ ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় এই মৌসুমে ১২'শ হেক্টরের অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। বোরো মৌসুমের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাতের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের চাষাবাদও হচ্ছে।
উফশী জাতের মধ্যে ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান-১০০, ১০২ ও ১০৪ প্রভৃতি জাতের ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় চাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
বগাচতর ইউনিয়নে রাঙ্গীপাড়া এলাকার স্থানীয় কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও সমতল ভূমিতে কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। বর্তমানে সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াতে বোরো চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে চাষাবাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিগত বছরের ন্যয় এবারও বোরো ধানের ভালো ফলন হবে আশা করছেন পাহাড়ের কৃষকরা।
লংগদু উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রতন চৌধুরী জানান, প্রতিবছরই এ উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়ে থাকে। একই সাথে লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়। এবারও আমরা আশা করছি, এই মৌসুমেও স্থানীয় চাষীরা বোরোর আবাদে বেশ লাভবান হবেন। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কৃষকদের ফসল চাষে উৎসাহী হতে এবং দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলার প্রতিটি ব্লকে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সরজমিনে গিয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কৃষি অফিস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনূকুলে থাকলে এবারও পার্বত্য জেলা রাঙামাটির অন্যতম কৃষি প্রধান উপজেলা লংগদু বোরো চাষে অধিক ফলন উৎপাদন করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মেসেঞ্জার/সাকিব/তারেক
