ছবি : মেসেঞ্জার
কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হওয়ার ১৪দিন পর ছুরিকাঘাতে আহত শাশুড়ি পারভিন আক্তার (৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৫টার সময় চট্রগ্রাম চট্রগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া পারভিন আক্তারকে অপারেশন করার পর আইসিউতে নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পারভিন আক্তারের স্বামী আবদুল হামিদ বলেন, আমার সবকিছু হারিয়ে গেছে। আজ ভোর ৫টার সময় চট্রগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। (১৭ জানুয়ারি) শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আমার বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়ে জামাই আমার মেয়েকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী আমার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আমার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলে আমার মেয়ে মারা যায় ও আমার স্ত্রী গুরুতর আহত হয়।
দীর্ঘ ১৪ দিন আমার স্ত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ আমাদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেল। আব্দুল হামিদ জানান, আট মাস পূর্বে আমার মেয়ে উম্মে হাফছা তুহির (১৮) সাথে শওকত হাসান মেহেদীর (২৩) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আমার মেয়ে কে নির্যাতন করত।
অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে মেয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। (১৭ জানুয়ারি) শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আমার মেয়ের জামাইয়ের হাতে আমার মেয়ে ও আমার স্ত্রী ছুরিকাঘাত হয়। মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যাওয়ার ১৪দিন আমার স্ত্রীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া পারভীন আক্তারের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ভাঙ্গার মুখ এলাকায়।
উল্লেখ্য, ঘাতক শওকত হাসান মেহেদী তার স্ত্রী ও শ্বাশুড়িকে ছুরিকাঘাতের পরদিন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তিনি এখন কারাগারে রয়েছে।
মেসেঞ্জার/রিদুয়ান/তারেক