
ছবি : মেসেঞ্জার
বরগুনা সদর উপজেলার ৫ নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পুরাকাটা গ্রামের মো. ইউনুস হাওলাদরের পুত্র টাইলস মিস্ত্রি মো. মনিরকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) উপর্যুপরি কুপিয়ে যখম করে একই বাড়ির মো. মজিবর হাওরাদারের পুত্র মো. ইমরানসহ আরও চার পাঁচ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, অভিযুক্ত ইমরান এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার যুবক ও কিশোরদের মাদক সেবনে উৎসাহিত করে আসছে। ঘটনার আগের দিন আহত মনিরের কিশোরপুত্র মো. শুভকে মাদক সেবনের কথা এলাকাবাসী শুভর বাবা মনিরকে জানালে সে প্রতিবাদ করায় মাদকসেবী ইমরান ও মনিরের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরের হাতে কামর দেয় ইমরান। এ বিষয় নিয়ে আহত মনিরের চাচাত ভাই মো. সবুজ মিমাংসা করে দিয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত থাকার পরামর্শ দেন।
এলাকার মো. সাইদুল জানান, মিমাংসার ঘটনা ইমরানের পরিবারকে ইমরান জানানোর পরে তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মেনে না নিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় দলবদ্ধভাবে প্রতিবেশী সোহাগ হাওলাদারের বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আশংকাজনক অবস্থায় আহত মনিরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান সোহাগ হাওলাদারসহ প্রতিবেশীরা।
এ বিষয়ে সোহাগ হাওলাদার জানান, ১ ফেব্রুয়ারি রাতে মনিরের ডাক চিৎকার শুনে আমরা ছুটে এসে দেখি যে, আমার বাড়ির আঙ্গিনায় মনিরকে ইমরানসহ আরও তিন চার জন এলোপাথারি কোপাচ্ছে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করছে। এ অবস্থায় আমি ইমরানকে জাপটে ধরার চেষ্টা করি। ব্যর্থ হলে ইমরানসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আহত মনিরের মাথাসহ শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে মারাত্মক জখম দেখে আমরা আহত মনিরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে বর্তমানে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক। দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। মনিরের পিতা মো. ইউনুস হাওলাদার জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। অত্যাধিক রক্তক্ষরণের ফলে ওর শরীরের অবস্থার যথেষ্ট অবনতি ঘটেছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইউনুস আলী ফরাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত মনিরের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মেসেঞ্জার/কেশব/তুষার