ছবি : মেসেঞ্জার
ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার ডিইপিজেড সংলগ্ন প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আটককৃতরা হলেন- ইকরামুল ইসলাম (২৮), নূর আলম (২৪), আলম খন্দকার (৩ঌ), পলাশ (৩৩), আবু বক্কর সিদ্দীক (৪৭) ও মোক্তার হোসেন (৩৩)।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হারুন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে লোকজন নিয়ে কারখানার সামনে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করতে আসে। এসময় বিএনপির অপর একটি পক্ষ দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, সকাল থেকে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছিলেন বিএনপির নেতা হারুন মন্ডল। দুপুরের দিকে ঢাকা-১৯ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী আলমগীর, রিয়াদ মোল্লা, আশকর দেওয়ানসহ প্রায় ৪০ জনের অধিক লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এসময় তারা দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
অপর পক্ষের বিএনপি অনুসারী আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের নামে কারখানার সাথে চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে আজকে মালামাল অপসারণের কাজ করতে যাই। কিন্ত এর আগে থেকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিলে আমরা পালিয়ে যাই। পরে শুনতে পারি আমরা নাকি গুলি ফুটিয়েছি।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এরপর অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। সন্দেহজনকভাবে ৬ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মেসেঞ্জার/নোমান/তুষার