ঢাকা,  বুধবার
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

রাবির সাত হলে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাবির সাত হলে কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাতটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ বলছে, রাবিতে কোরআন পোড়ানোর ঘটনার মূলহোতা এই শিক্ষার্থী। তাকে ময়মনসিংহ থেকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর নাম ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২)। তিনি রাবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নে। কোরআনে আগুন দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যান এবং চাপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকেন।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গত ১২ জানুয়ারি রাবির শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখস হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরীফের এমন অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা করে।

আরএমপির মতিহার থানা পুলিশের পাশাপাশি সিটিটিসি এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট মামলাটির তদন্ত শুরু করে। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় ঐ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

আরএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আজই (মঙ্গলবার) ঐ শিক্ষার্থীকে ময়মনসিংহের তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকালে তাকে রাজশাহীতে আনা হয়। পুলিশ হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বুধবার আদালতে তোলা হবে।’

তিনি জানান, ঐ শিক্ষার্থী দাবি করেছেন যে তিনি মানসিকভাবে ‘বিক্ষুব্ধ’ এবং এই কারণে পবিত্র কোরআন শরীফে আগুন দেন। তিনি একাই এই কাজটি করেছেন। তার বক্তব্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

‘এ পর্যন্ত আটক শিক্ষার্থীর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি’ বলে জানান আরএমপির  কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন।

মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার