ছবি : মেসেঞ্জার
বান্দরবানের রুমা উপজেলা মংশৈপ্রু পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৌদ্ধ বিহার ও ইউনিসেফসহ পুড়ে ছাই হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে সাতটার দিকে ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের মংশৈপ্রু পাড়া গ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পাড়াবাসীরা জানান, গ্রামের লোকজন হঠাৎ আগুন বলে চিৎকার করে উঠে। পরে সেই আগুনে বৌদ্ধ বিহারের ভিতরে থাকা বুদ্ধমূর্তিসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একই সাথে গ্রামে থাকা ইউনিসেফ পুড়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে সে ব্যাপারে জানা যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লাখ টাকা বলে ধারণা করছে গ্রামবাসীরা।
ওই গ্রামে বাসিন্দা উম্যাওয়াই মারমা বলেন, আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে সেটা জানা যায়নি। হঠাৎ করে গ্রামবাসীরা আগুন বলে চিৎকার করলে গিয়ে দেখেন বৌদ্ধ মন্দির অর্ধেক আগুনের পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিহারের পাশে থাকা ইউনিসেফও পুড়ে গেছে। তবে গ্রামের কোন ঘর পুড়েনি বলে জানান তিনি।
পাইন্দু ১নং ইউনিয়নের-১ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য মংছো মারমা বলেন, মংশৈপ্রু পাড়া গ্রামটি নদীর ওপারে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছে আগুনে বৌদ্ধ বিহারসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কাল বিস্তারিত বলা যাবে।
রুমা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী তারিকুল রহমান রাসেল বলেন, বিদ্যুতের কোন শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত ঘটেনি। কিছুক্ষণ আগে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছি পরবর্তীতে এলাকাবাসীর অনুরোধে আবার বিদ্যু সরবরাহ করেছি। আশা করছি কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না।
রুমা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা মো: আরিফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি মংশৈপ্রু গ্রামে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। নদীর ওপারে হওয়াতেই যাওয়া সম্ভব হয়নি। আগুন নিভিয়ে গেছে বলে এলাকাবসীরা জানিয়েছে। কাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
মংশৈপ্রু পাড়া বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বার চাইখ্যাইংউ মারমা বলেন, তাঁর পিতা বেঁচে থাকতে নিজেদের উদ্যোগে বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। পুরোনো এ বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিকাণ্ডে সব মিলে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বৌদ্ধ বিহারের পাশাপাশি থাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালিত একটি পাড়া কেন্দ্রও আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে।
মেসেঞ্জার/তুষার