ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহীর ফুদকি পাড়ার একটি সরস্বতী পূজামন্ডপে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ফুদকিপাড়ায় স্থানীয়রা এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা পুজার প্যান্ডেল ও সাউন্ড বক্স ভেঙে চলে যায়।
এ ঘটনার পর গভীর রাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা ঘেরাও করে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন। পরে রাতেই হিন্দু বৌদ্ধ কল্যাণ ফ্রন্টের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার সাহা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ক্ষুদ্ধ সনাতনীরা মধ্যরাতে বিক্ষোভ শেষে বাড়ি ফিরেন।
লিখিত অভিযোগে হামলাকারী হিসেবে শান্ত, সানোয়ার, শাকিল, জীবন, আকাশ, দীপ্ত, শফিক, আলো, সুইট ও শিশিরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী বড়কুঠিপাড়া মহল্লায় উল্লেখ করা হলেও অভিযোগে কারও বাবার নাম লেখা হয়নি।
এদিকে হামলার সময় এক ব্যক্তি ফেসবুকে লাইভ দিতে শুরু করেন। এ সময় তিনি হামলাকারী হিসেবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কথা বলেন। তবে লিখিত অভিযোগে কারও পরিচয় সুনির্দিষ্ট না থাকায় অভিযোগের ব্যাপারে কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
অভিযোগে বলা হয়, ‘ফুদকিপাড়া এলাকার মন্নুজান স্কুল মাঠে সপ্তস্বতী ও আশীর্বাদ সংঘের উদ্যোগে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। রাতে সনাতনী যুবকেরা গানবাজনার সঙ্গে সেখানে নাচানাচি করছিল। তখন হামলাকারী যুবকেরা তাদের সঙ্গে এসে নাচানাচি শুরু করে। একপর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে লাঠিশোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং প্যান্ডেল ও সাউন্ড বক্স ভাংচুর করে। হামলাকারীরা মেয়েদের মারধর করে।’ পরে টহল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে তারা গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় প্রায় তিন লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা বলা হলেও কেন, কী কারণে হামলা ও ভাংচুর করেছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘সকালেই প্রতীমা বিসর্জনের কথা ছিল। সকাল পর্যন্ত পুলিশও ছিল। কিন্তু তারা নাচগান করছিল। তখন রাতে হামলার ঘটনাটা ঘটেছে। তবে প্রতীমা ভাংচুর হয়নি। শুধু প্যান্ডেল আর সাউন্ড বক্স উল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ ওসি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা একটা লিখিত অভিযোগ নিয়েছি। জড়িতদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে।’ তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/তুষার
