ঢাকা,  শনিবার
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

সপ্তম বর্ষে স্বপ্নবাগিচা, শিশুদের নাটক-গানে মুখরিত বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সপ্তম বর্ষে স্বপ্নবাগিচা, শিশুদের নাটক-গানে মুখরিত বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণ

ছবি: স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা

চট্টগ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিদ্যালয় স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠার সপ্তম বর্ষে পদার্পনে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর টাইপাস রেলওয়ে কলোনী সংলগ্ন স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে মাত্র ৩০ জন শিশু নিয়ে যাত্রা শুরু করে স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন। ৬ বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রাথমিক শাখায় এখন ১৮৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ১৩ শিক্ষার্থী এবার মাধ্যমিকে পদার্পণ করেছে বলে বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে বিদ্যালয়ের খুঁদে শিক্ষার্থীরা নাটক, গান, কবিতা এবং আবৃত্তি পরিবেশনা করেন। এসময় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অধ্যাপক আবদুল আলিম, শিক্ষক টুটুল চন্দ্র মল্লিক, পরিবেশকর্মী আবু সুফিয়ান, রিতু পারভীন, স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতনের সংগঠক নাসিমা সিরাজী, ডা. সুশান্ত বড়ুয়া, ডা. ঋষিণ দস্তিদার প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, দেশে এমন আনন্দময় অনুকরণীয় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। সরকার চাইলে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে নীতিমালা করে এমন আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। এতে খুঁদে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতনের সংগঠক উর্মি বড়ুয়া বলেন, রেলওয়ে কলোনীর সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশু এখানে শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারনে শিক্ষা থেকে পিছিয়ে থাকা শিশুদের নিয়ে আমাদের যাত্রা। সময়ের পরিক্রমায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে এবার একদল শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরে পৌঁছে গেছে। আমরা উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

উল্লেখ্য, স্বপ্নবাগিচা বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ বিনাবেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান , শিক্ষা সামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে। শুভানুধ্যায়ীদের অর্থায়নে যাবতীয় খরচ মেটানো হয়ে থাকে।

মেসেঞ্জার/আকরাম/এসকে/ইএইচএম