ঢাকা,  শনিবার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি : মেসেঞ্জার

দেশে চায়ের রাজধানী খ্যাত ও অন্যতম চা শিল্পাঞ্চল উপজেলা শ্রীমঙ্গলে আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬ টা এবং ৯ টায় দেশের সর্বনিম্ন এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রেকর্ডকৃত ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই চলতি শীত মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আরো জানান, শনিবার দুপুর ১২টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ২৭ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩ নটিক্যাল মাইল অর্থাৎ ৫.৫৬ কিলোমিটার। তিনি আরো বলেন, শ্রীমঙ্গলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 

২০/২৫ দিন ধরে এখানে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রিতে অবস্থান করছে। (১০ জানুয়ারি) এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৯ ডিগ্রি, ১১ তারিখে ১০ ডিগ্রি, ১২ তারিখে ১০.৭ ডিগ্রি, ১৫ তারিখে ১০.৭ ডিগ্রি, ১৬ তারিখে ১১ ডিগ্রি, ১৭ তারিখে ১১.৩ ডিগ্রি, ১৮ তারিখে ১১.৭ ডিগ্রি, ১৯ তারিখে ১১.৪ ডিগ্রি, ২০ তারিখে ১১.২ ডিগ্রি, ২১ তারিখে ১১.৫ ডিগ্রি, ২৪ তারিখে ১১.২ ডিগ্রি, ২৬ তারিখে ৯.৬ ডিগ্রি, ২৭ তারিখে ৯.৮ ডিগ্রি, ৩০ তারিখে ১০.১ ডিগ্রি, (৪ ফেব্রুয়ারি) ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রাতে কনকনে শীত আর ঠান্ডায় জনজীবনে বেড়েছে দুর্ভোগ। সকালে স্কুল-কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডা আর শীতে চা-শ্রমিকসহ ছিন্নমুল আর খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বেড়েছে।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই শীত অনুভুত হতে থাকে। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে শীত। তবে ভোরে সুর্য উঠে যাওয়ায়  বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। তখন শীত অনুভুত হয় কম। জনজীবনে ফিরে আসে স্বস্থি। 

২০৫ টি গ্রাম, ৯টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও ছোট-বড় ৪৪ টি চা-বাগান নিয়ে গঠিত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শীতের কারনে সাধারণ জীবনযাত্রায় দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায়, দরিদ্র, ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে উপজেলার চা-বাগানগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি। রাতের বেলা বেশি শীত অনুভূত হলেও সকালে সুর্য ওঠে যাওয়ায় দিনের বেলায় তেমন শীত অনুভুত হয় না।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা বৈদ্য জানান, উপজেলায় অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া ডায়রিয়ার প্রবনতা বেড়েছে। অ্যাজমাজনিত রোগে আক্রান্ত বয়স্করা বেশি আসছেন হাসপাতালে। এছাড়াও জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছেন ডা. মৌমিতা বৈদ্য।

এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও এক পৌরসভায় শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ব্যাংক, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরন করেছে।

মেসেঞ্জার/কাজল/তারেক