
ছবি : সংগৃহীত
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের গইড়ির মাঠের বরই গাছ থেকে বাকপ্রতিবন্ধী নারীর বিবস্ত্র মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পরিবারের ধারণা ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গইড়ির মাঠ নামক স্থানে জিনা মেম্বারের পুকুর পাড়ের একটি বরই গাছে বিবস্ত্র অবস্থায় জাহানারা বেগমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় মাঠে কাজ করতে যাওয়া কৃষকেরা। জাহানারা (৪৫) দাড়ের পাড়া-গোবরগাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী গোলাপ রহমান বলেন, আমি আমার তামাকের জমিতে সেচ (পানি) দেওয়ার জন্য মাঠে এসে দেখি একটি মানুষ বরই গাছে ঝুলছে।
জাহানারার ভাই রাহাতুল ইসলাম ও ভাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন জানান, জাহানারা বাকপ্রতিবন্ধী, সে প্রতিদিনের ন্যায় সংসারের কাজকর্ম শেষে সন্ধ্যার পরে শারীরিক ব্যায়াম হাটাহাটির জন্য বাইরে বের হয়েছিল। পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সে বাক প্রতিবন্ধী হলেও সংসারের সকল কাজ করতে পারে এবং অন্য মানুষের বাড়িতেও কাজ করে। আমরা সকালে খবর পায় বিবস্ত্র অবস্থায় তার লাশ একটি গাছে ঝুলছে। এসে দেখি তার শরীরে জামা কাপড় বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন আছে। আমাদের ধারনা তাকে ধর্ষণ করার পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই আমরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী বলেন, রাতে এশার নামাজের পরে দাড়ের পাড়া মোড়ের একটি দোকানে বসা ছিলো জাহানারা বেগম।
এই নেক্কারজনক ঘটনার সঠিক তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাক্ষী দিতে বাহিরে আছেন বলে জানান।
ওসির চার্জে থাকা (সেকেন্ড অফিসার) উপ-পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, আমরা জাহানারাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছি, শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধর্ষণ হয়েছে এমন কোনো আলামত বাহ্যিকভাবে বুঝা যায়নি। আমরা জাহানারার লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে এটা ধর্ষণ করে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
মেসেঞ্জার/তুহিন/তুষার