ঢাকা,  বুধবার
১২ মার্চ ২০২৫

The Daily Messenger

মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় কাল হলো নৈশ প্রহরী মিজানের

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় কাল হলো নৈশ প্রহরী মিজানের

ছবি : মেসেঞ্জার

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বেঁধে রাখা হয় গাছের সাথে। পিটিয়ে করা হয় আহত। দেওয়া হয় নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে করা হয় ভিড়িও। এখানেই শেষ নয়! থানায় কল দিয়ে তুলে দেওয়া হয় থানা পুলিশের হাতে। একটি মামলার স্বাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে বর্বরচিত ঘটনাটি ঘটেছে মিজানুর রহমান নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর সাথে।

মিজানুর রহমান নোয়াখালী হাতিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গুল্যাখালী গ্রামের ছালাউদ্দিনের ছেলে। সে গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী। সম্প্রতি এ ঘটনায় মিজানের স্ত্রী ফারজানা আকতার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

হাতিয়া থানায় করা মামলা সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমানের সাথে এক বাড়ীর আবু কাউছারদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ভিটিবাড়ী থেকে উৎখাতের লক্ষ্যে কয়েকবার মিজানুর রহমানের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগে বাড়িতে অন্য একটি পক্ষের সাথে জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আমার স্বামীকে স্বাক্ষী করা হয়। এটাকে কেন্দ্রকরে তাকে নানাভাবে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছিল।

তারই জের ধরে সম্প্রতি ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান তার বাড়ীতে যাওয়ার পথে রাতের অন্ধকারে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এ সময় তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তার সাথে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল, মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে নারীর শ্লীলতাহানির অপবাদ দেয় এবং ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়। পরে থানায় কল করে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়।

ফারজানা আকতার বলেন, আমার স্বামীকে ভিটিবাড়ী থেকে উৎখাতের জন্য কয়েকবার হামলা করেছে। সমাজে এগুলো নিয়ে বিচার সালিশও হয়েছে, আমরা বিচার মানলেও তারা এগুলো পরোয়া করে না। কয়েকদিন আগে বাড়ির অন্য একটি পক্ষের সাথে জায়গা নিয়ে মারামারির ঘটনার মামলায় আমার ম্বামীকে স্বাক্ষী করা হয়। এটাকে কেন্দ্রকরে আামার স্বামীকে মারধর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার স্বামীর উপর হামলাকারীদের বিচার চাই।

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা জানান, মিজানের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মেসেঞ্জার/রাসেল/তুষার