
ছবি : মেসেঞ্জার
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়কের পদ খালি থাকায় চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি। এছাড়া পথ্য (খাদ্য) ও ধোলাই ঠিকাদার বিল, লিলেন, মনোহরি সামগ্রী ক্রয় ও উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকারের আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর অন্যত্র বদলি হন। পরে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেন চক্ষু বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকার। কিন্তু আর্থিক বিষয়ে (আয়ন-ব্যয়ন) কোন ক্ষমতা না থাকায় ৭০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ৩য়-৪র্থ শ্রেণির মোট ১১৩ কর্মচারি গত জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি।
হাসপাতালের হিসাব রক্ষক ইসরাফিল হোসেন মামুন জানান, হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের বেতন বন্ধের পাশাপাশি সকল আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে আছে। পথ্য ও ধোলাই ঠিকাদারের বিল আটকে আছে। মনোহরি সামগ্রী, ক্রয় ও উন্নয়ন কার্যক্রম থমকে গেছে। এভাবে চলা কষ্টকর হয়ে পড়েছ। এর দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন।
কয়েকজন কর্মচারী জানিয়েছেন, বেতন না পাওয়ার আর্থিক টানপড়েনের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন। ধার-দেনা করে চলতে হচ্ছে।
হাসপাতালের পথ্যের ঠিকাদার হাফিজুর রহমান শিলু জানিয়েছেন, বিল বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন রোগীদের মাঝে খাবার সরবরাহ করছেন। আর্থিক সংকট তৈরি হলেও কিছু করার নেই। টাকার অভাবে রোগীদের খাবার তো বন্ধ করা যায়না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকার জানান, মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক যোগদান করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে হাসান আল মামুনকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উন্নয়ন) পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে আর কেউ এই পদে আসেননি। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় উন্নয়নের তত্ত্বাবধায়ক পদটি বিলুপ্ত করে। এছাড়া সহকারি পরিচালক পদ সৃষ্টি করা হয়নি। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক ও সহকারি পরিচালক পদটি পরিচালনা করা হয় অন্য কাউকে সংযুক্তি করে। প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ সৃষ্টির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সাড়া মেলেনা। মন্ত্রণালয় থেকে কাউকে সংযুক্তি দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক পদটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/তুষার