ঢাকা,  শনিবার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ক্রয় পক্রিয়াতে সচেতন হলে দুর্নীতি অনেকাংশেই লাঘব করা সম্ভব : মুন্সিগঞ্জে দুদক চেয়ারম্যান

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ক্রয় পক্রিয়াতে সচেতন হলে দুর্নীতি অনেকাংশেই লাঘব করা সম্ভব : মুন্সিগঞ্জে দুদক চেয়ারম্যান

ছবির ক্যাপশন: দুদক চেয়ারম্যানের কর্মশালা উদ্বোধন ও বক্তব্যকালে ছবিটি সোমবার দুপুরে তোলা - টিডিএম।

সরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের ক্রয় পক্রিয়া দুর্নীতির সবচেয়ে বড় উৎস বলে মন্তব্য করেছেন, দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ৭০-৮০ শতাংশ পিপিআর ২০০৬ এবং পিপিআর ২০০৮ রিলেটেড। এদিকে নজর দিলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার স্টাফ কলেজের সেমিনার কক্ষে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয়নীতি বিষয়ে ১৫ দিনব্যাপী আবাসিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্য খাতের দূর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল সেক্টরে কিছুদিন আগেও ঠিকাদার ঠিক করতো মেডিকেলে কি কি ইকুইপমেন্ট ক্রয় করতে হবে। হাসপাতালে গিয়ে বাধ্য করতো সেগুলো স্বাক্ষর করতে। স্বাক্ষর হয়ে ঢাকায় আসতো এবং সেই অনুযায়ী মালামাল সাপ্লাই করা হতো। সেই ইকুইপমেন্ট দিয়ে অপারেশনই করা যাচ্ছে না। অধিকাংশই অকেজো।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর আপনারা পেয়েছেন। কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।’

এছাড়া দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।’

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা যেসব বড় বড় দুর্নীতির কথা বলি সেসব দুর্নীতির বড় উৎস হচ্ছে ক্রয় পক্রিয়া। আমরা যদি ক্রয় সম্পর্কে সচেতন থাকি, বাজার মূল্য সম্পর্কে সচেতন থাকি এবং যে জিনিসটা ক্রয় করছি সে জিনিসটা প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সচেতন থাকি তাহলে দুর্নীতি লাঘব করা অনেকাংশেই সম্ভব।

এ সময় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে হবে নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)'র সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম রিজু।

উল্লেখ্য, সরকারি ক্রয়নীতির উপর ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে দুদকের সহকারী পরিচালক এবং উপ-সহকারী পরিচালক মিলিয়ে ৩০জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছে।

মেসেঞ্জার/শুভ/তুষার