ঢাকা,  বুধবার
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড

ফুটওভার ব্রীজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার, ঘটছে দুর্ঘটনা-যানজট

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা, টাঙ্গাইল

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফুটওভার ব্রীজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পারাপার, ঘটছে দুর্ঘটনা-যানজট

ছবি : মেসেঞ্জার

উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহের ২৩টি জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। এখানে ফুটওভার ব্রীজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা মহাসড়ক পারাপার হন। মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তা পারাপারে দ্রুত একটি ফুটওভার ব্রীজের নির্মাণের দাবি করেছেন যাতায়াতকারীরা।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপদ অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপাশে ২ কোটি ২০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ফুট ওভারব্রীজ। যার উচ্চতা ৫.৩৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ২৪.৫০ মিটার। পরবর্তীতে এ মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ব্রীজটি ভেঙে ফেলে কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু বর্তমানে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হন যাতায়াতকারীরা। সন্ধ্যার চলাচল করা আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। দ্রুত গতির যানবাহন এড়িয়ে বয়স্ক ও শিশুদের পারাপার হওয়া খুবই কষ্টকর। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অদূরে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, একটি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক-বীমা শাখা, শত বছরের পুরনো হাট বাজারসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া মধ্যবর্তী স্থান হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে ভাড়া বাসা বাড়ি। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।

এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের স্থানীয় ব্যবসায়ী হিরু মোল্লা ও আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় বাসস্ট্যান্ডে ফুট ওভার ব্রীজ ছিল। এলাকার মানুষ এবং দূরের যাতায়াতকারীরা ঝুঁকিহীন পারাপার হতেন। কিন্তু না থাকার ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে। তাই আমরা চাই দ্রুত একটি ব্রীজ হোক।

এলেঙ্গায় ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুশফিকুর রহমান বলেন, ফুটওভার ব্রীজ না থাকায় মানুষ এলোপাথারী চলাচল করে। ফলে গাড়ির গতি কমে গিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ছোট-বড় দুর্ঘটনাতো ঘটেই। সুবিধার জন্য এখানে একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ জরুরি।

এলেঙ্গা (মধুপুর) হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খান বলেন, ফুটওভার ব্রীজে না থাকায় পথচারীরা পারাপার হওয়ার সময় নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। গত মাসেও একজন মারা গেছেন। এখানে একটি ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ প্রয়োজন।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় যত্রতত্র পারাপার এবং দূঘর্টনা রোধে এখানে একটি ফুটওভার ব্রীজের দরকার আছে। কিন্তু সাসেক প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এখন এটার নির্মাণ দায়িত্ব তাদের।

উল্লেখ্য, ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৮/২০ হাজার ছোট-বড় যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়ে থাকে।

মেসেঞ্জার/তুষার