![৪৯ দিনের সিএমপি কমিশনার সাইফুল কারাগারে ৪৯ দিনের সিএমপি কমিশনার সাইফুল কারাগারে](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/37-2502121415.jpg)
ছবি: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম
চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীর হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে চট্টগ্রামের একটি আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি মেসেঞ্জারকে বলেন, চান্দগাঁও থানার হত্যা মামলায় রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। তবে আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এর আগে, বুধবার দুপুরে রাজধানী থেকে সাবেক সিএমপি কমিশনার সাইফুল ইসলামকে জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যার শিকার চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ জুলাই নগরের চান্দগাঁও এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া গুলিতে আহত হন। পরে ২৩ জুলাই মারা যান তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হৃদয়ের বন্ধু আজিজুল হক বাদী হয়ে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় ২০৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
২০২৪ সালের ২৩ জুন সাইফুল ইসলামকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ৩২তম কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে। ৪ জুলাই তিনি সিএমপির কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। পরে ২১ আগস্ট তাকে সারদা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে বদলি করা হয়। তিনি সিএমপি কমিশনার হিসেবে ৪৯ দিন দায়িত্ব পালন করেন।
সিএমপিতে যোগদানের পূর্বে তিনি এমআরটি পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও তিনি বরিশাল ও বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/তুষার