ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

আব্দুলপুরে হামলা-অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক লুটপাট 

যশোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ২১:১৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আব্দুলপুরে হামলা-অগ্নিসংযোগ, ব্যাপক লুটপাট 

ছবি: মেসেঞ্জার

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুরে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের জেরে বুধবার এ ঘটনা ঘটানো হয়৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটকারীরা হৈবতপুর ইউনিয়ন বিএনপি সমর্থক। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে প্রশাসনের ডেভিল হান্ট অভিযান শুরু করেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১১ টার দিকে  হৈবতপুর ইউনিয়নের বড় হৈবতপুর গ্রামের দেড়শতাধিক মানুষ সশস্ত্র অবস্থায় আব্দুলপুর গ্রামে যায়। এসময় তারা সাজিয়ালী-আব্দুলপুর ওয়ার্ডের মেম্বর আওয়ামী লীগ সমর্থক আনিসুর রহমান, তৌহিদুর ওরফে তৌহিদ, রমজান, লাল্টু, মিন্টু, ইসরাফিলের বাড়ি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুর্বৃত্তদের তান্ডবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 

স্থানীয় ও  ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সকলে হৈবতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমর্থক। তারা পরিকল্পিতভাবে আব্দুলুরের আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রথমে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। পরে তারা অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়।  হামলাকারীরা এসময় ঘর থেকে নগদ টাকা, সোনার গহনা, দামি জিনিসপত্র,গরু ও ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে আব্দুলপুর গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উভয় গ্রামবাসীকে শান্ত থাকা উচিত। আব্দুলপুর গ্রামে কয়েকজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ঘটনার সাথে জড়িতরা যে দলের হোক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। রাজনীতির নামে নোংরামি সহ্য করা হবে না। 

এই বিষয়ে চুড়ামনকাটির সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই নিয়ামুল জানিয়েছেন, বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের আটকে প্রশাসনের ভেডিল হান্ট অভিযান চলছে।  ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার  বড় হৈবতপুর মাঠে সেচের পানি নিয়ে গোলযোগের জের ধরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বড় হৈবতপুর ও আব্দুলপুর গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৮ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ জনকে খুলনায় রেফার্ড করা হয়। তারা হলেন চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের জামির আলীর ছেলে শফিয়ার রহমান ওরফে শফি (৩৭), বড় হৈবতপুর গ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে হুমায়ন কবীর রাজু (৪৫), খালেক মন্ডলের ছেলে শামীম হোসেন (৩০) ও লুৎফর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪০)। বাকি ৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তারা হলেন বড় হৈবতপুর গ্রামের নাজমুল (৩০), সাব্বির (২৪), পাপ্পু (২২) ও রুবেল (২৫)। পরে ঘটনাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় রুপ নিয়েছে। 

মেসেঞ্জার/বিল্লাল/জেআরটি