
ছবি: মেসেঞ্জার
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ৩ জেলেকে পিটিয়ে ডাকাত বানানোর অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এতে আসামী করা হয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য জসীম উদ্দিনসহ ৭ জনকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আহত জেলে মো. কাউসার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে জাহাজমারা ইউনিয়নের কাদেরিয়া স্লুইসগেট এলাকার সরকারি ব্যারাক হাউজে তিন জেলেকে পিটিয়ে ডাকাত তকমা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়। আহত তিন জেলে হলো একই এলাকার আলী আজ্জমের ছেলে ফখরুউদ্দিন (২৮), মো. দিলুর ছেলে শাহারাজ (২৭) ও কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. কাউসার (২৭)।
জেলেদের স্বজনরা জানান, বিএনপির দুইটি গ্রুপের অন্তকোন্দলের জের হিসেবে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে জাহাজমারা ইউনিয়ন বিএনপির ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি হাসান মাঝি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ী আসলে দেখতে যান এই তিন জন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসান মাঝির প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য জসীম উদ্দিনের লোকজন এই তিনজনকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। প্রথমে তারা তিন জেলে নিজেদের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।
এসময় জেলেদের কাছ থেকে ডাকাত হিসাবে জোরপূর্বক নেওয়া হয় স্বীকারোক্তি। সাথে দেওয়া হয় নকল অস্ত্র। ঘটনার সময় পরিবারের লোকজন বার বার বাঁচাতে এলে তাদেরকেও লাঞ্চিত করা হয়। পরে ডাকাত তকমা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে পুরো ঘটনা ভিডিও করে ছেড়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এবিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজমল হুদা বলেন, ডাকাত হিসেবে থানায় সোপর্দ করা ৩ জেলের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদেরকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাত হিসেবে কোন তথ্য প্রমাণ আমরা পাইনি। তবে এ ঘটনায় আহত জেলেদের মধ্যে একজন বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেছে।
মেসেঞ্জার/জিল্লুর/তুষার