ঢাকা,  শনিবার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

হবিগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি নিয়ে মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হবিগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি নিয়ে মাঠে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছবি : মেসেঞ্জার

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদ, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধকরণ ও খুনীদের ফাঁসির দাবিতে হবিগঞ্জে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোল। এই কর্মসূচিকে তারা ‘হবিগঞ্জ ব্লকেড’ নামে অভিহিত করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের পৌর টাউন হলের সামনে প্রধান সড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন।

সভায় বক্তারা হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে দৃশ্যমান কোন অপারেশন পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।

তারা বলেন- ‘হবিগঞ্জে ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ সেই হামলায় জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ ও প্রশাসনের কোন দৃশ্যমান ভূমিকা নেই। অবিলম্বে যদি এদেরকে গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে হবিগঞ্জের ছাত্র সমাজকে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’

এ সময় বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাহদি হাসান, আশরাফুল ইসলাম সুজন, আরিফুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, আরিফ তালুকদার, স্বর্ণা কানু পূর্ণতা, মিনহাজ উল মাহবুব রাফী, তাসলিমা ইসলাম, শামীম আহমেদ, তানজিলা ইসলাম প্রমুখ।

গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহিদ আখ্যা দিয়ে মো. কাশেমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বক্তারা বলেন - ‘আজ বিপ্লবের দ্বারা এই সরকার গঠিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভুলে গেছে আমাদের রক্তের উপর পা দিয়েই সরকার গঠিত হয়েছে। তারা ঘুমিয়ে গেছে, তারা ভুলে গেছে। তারা এখন দোসরদের নিয়ে কাজ করছে। আমরা জানতে চাই, কাদের ইন্ধনে আমাদের হবিগঞ্জেও এত শহিদ হওয়া সত্ত্বেও সেই আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের এসি ঘরে ঘুমানোর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আমরা ছাত্র-আন্দোলনের সময় কেউ নিরাপদে ঘরে ঘুমাতে পারিনি।’

সাম্যর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের পূর্বসূরীরা এদেশ স্বাধীন করার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে এসে খুনী হাসিনা পাকিস্তানের স্টাইলে আমাদের ভাইদেরকে হত্যা করেছে। তখন আমাদের মধ্যে কিছু সুশীলরা চোখের মধ্যে কাঠের চশমা পরেছিলেন।’

তারা আরও বলেন- ‘৫ আগস্টের পর আমরা ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিদায় করতে পারলেও, তাদের দোসররা এখনো বাংলার মাটিতে রয়েছে। দোসরদের মাধ্যমে সেই আওয়ামী লীগ আবারও পুনর্বাসনের চেষ্টা করতেছে। কিন্তু আমরা ছাত্র সমাজ বলে দিতে চাই- তাদের অস্তিত্ব বাংলার মাটিতে থাকবে না।’

বেলা ১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত করলে রাস্তা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখা।

মেসেঞ্জার/পাবেল/তুষার